আরিফা খাতুন ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, টেকজুম ডটটিভি// বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ই-কমার্স। ই-কমার্স হলো এমন এক ধরনের ব্যবসা যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। বর্তমানে ই-কমার্সে বিশাল বাজার ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় ছোট বড় সব ব্যবসা এখন ই-কমার্সের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে।যা বর্তমান বিশ্বের জন্য খুবই ফলপ্রসূ একটি বিষয়।
১৯৭০ সালের দিকে ই-কমার্স এর প্রাথমিক সূচনা হয়। ইলেক্ট্রনিক ডাটা ইন্টারচেঞ্জ এবং ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এর মাধ্যমে একমুখী ফান্ড ট্রান্সফার এর মাধ্যমে ই-কমার্স তার যাত্রা শুরু করে।
আমাদের বাংলাদেশে ই-কমার্স যাত্রা শুরু করে ২০১১ সালে। কিন্তু ২০১৪ সাল ই-কমার্সে নতুন দিগন্ত তৈরী হয়। এই বছরের শেষের দিকে জন্ম নেয় ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ই-ক্যাব)। এই এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ।ই-ক্যাব এর হাত ধরে ই-কমার্সের ইতিহাসে একটি মাইলফলক তৈরি হলো বাংলাদেশে।
সারাবিশ্বে ই-কমার্স সপ্তাহ পালন করা হয় ১ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে ৭এপিল থেকে ১৪ এপ্রিল ই-কমার্স সপ্তাহ পালন করা হয়।বাংলাদেশে অনলাইন কেনাকাটায় উৎসাহিত করতে ও মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ২০১৫ সালের ৭এপ্রিল এই দিনটিকে ই-কমার্স দিবস ঘোষণা করে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। তখন থেকেই ই-ক্যাব এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ এর নেতৃত্বে ৭ এপ্রিল ই-কমার্স দিবস পালনের সূচনা হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৭ এপ্রিল ই-কমার্স দিবস পালন করা হয়।এই দিবসের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষকে অনলাইনে কেনাকাটা,সচেতনতা ও আগ্রহী করে তোলার জন্য প্রচেষ্টা করা হয়।
বর্তমানে মানুষ ই-কমার্সের দিকে ঝুকেছে। কারন ই-কমার্সের মাধ্যমে খুব অল্প পুঁজি নিয়েও নিজের একটা উদ্যোগ শুরু করা যায় এবং খুব কম খরচে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।ই-কমার্সের মাধ্যমে সারাদেশের পণ্য নিজের ঘরে বসে পাওয়া যায়। এমন কি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যও ঘরে বসে কেনাকাটা করা যায়।ই-কমার্সের ফলে মানুষের বাজার ঘুরে ঘুরে পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে হয় না।তাই সময় যেমন বেঁচে যায় তেমনি সব ধরনের পণ্য ঘরে বসেই পাওয়া যায়।
বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের ই-কমার্সের আওতায় আসতেই হবে। কারন ই-কমার্স এখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত বিষয় ই-কমার্সের ভবিষ্যত উজ্জ্বল।কারন ই-কমার্সের বদৌলতে বিশ্বের সব পণ্যই এখন ঘরে বসেই পাওয়া যায়।
কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের দেশে এখনো অনলাইন কেনাকাটায় তেমন সচেতনা বাড়নি, দ্রুত ডেলিভারি সিস্টেম চালু হয়নি এবং অনেক পণ্য ই-কমার্সের আওতায় আসেনি।
তারপও বর্তমানে বাংলাদেশের ই-কমার্সে ক্রয় বিক্রয় অনেক বেড়েছে। অনেক দেশীয় পণ্য ই-কমার্সের আওতায় চলে এসেছে। এই বছর হবে ই-কমার্সের জন্য সম্ভাবনার একটি বছর। এই বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের ই-কমার্স এগিয়ে যাবে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে।
আজকে ৭ এপ্রিল ই-কমার্স দিবসে বাংলাদেশের ই-কমার্স এগিয়ে যাক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সেই প্রত্যাশা করি।সবাইকে ই-কমার্স দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।