ইমরান হোসেন রনি, টেকজুম ডটটিভি// আজ ৭ এপ্রিল বাংলদেশে পালিত হচ্ছে ই-কমার্স দিবস। সেই ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে দিবসটি পালন হয়ে আসছে। বাংলাদেশে ২০১০/১১ থেকে ই-কমার্সের ব্যপ্তি হলেও এর অনুষ্ঠানিক ভিত মজবুত হয় ২০১৪ সালে ই-ক্যাব ( ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ই-কমার্স বিপ্লব অনেক আগে শুরু হলেও বাংলাদেশে তার ঢেউ এসে লাগে ২০০৯ এর পর থেকে। তৎকালীন নতুন সরকার ডিজিটাল খাতে ব্যপক ঢেলে সাজানোর উদ্দ্যোগ নেয়ার ফলে নতুন করে সেবা ও কর্মসংথানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই নতুন শতাব্দির মানুষের চিন্তা ভাবনা রুচি ও চাহিদার যে অমূল পরিবর্তন হয়েছে তারই ধারাবিহিকতায় ই-কমার্সের প্রয়োজন ও গ্রহণযোগ্যতা এসেছে।
বর্তমান সময়ে শুধু কর্মজিবি মানুষ ই নন বরং ঘরে থাকা মানুষদের জন্যও ই-কমার্স এক অপরিহার্য ব্যাপার। মানুষের নানা মুখি ব্যস্ততার দরুন শপিংমল বা বাজারে গিয়ে কেনাকাটা অনেক দুরুহ হয়ে পড়েছে। স্বল্প সময়ে এখন যে কোন প্রান্ত থেকে নিজের ও পরিবারের প্রয়োজনীয় সকল পন্য সেবা ঘরেই হাজির হয়ে যাচ্ছে ম্যাজিক এর মত।
আপনার ঘরে আজ রান্নার সমস্যা আছে অনলাইনে ফুড ডেলিভারি সার্ভিস। আপনার বাসা বদল করার লোক লাগবে অথবা কোন নস্ট জিনিস ঠিক করবেন? লোক খোঁজাখুঁজি বা দরদাম বা গাড়ি ঠিক সব কিছুর সমাধান এক প্লাটফর্মেই। রাস্তায় দাড়ি গন্তব্যে যেতে আছে অনালিন পরিবহন সার্ভিস। বিভিন্ন শিক্ষা কোর্স বা ক্লাস কিনবা কোন ডাক্তারের পরামর্শ সবই পাচ্ছেন এখন অনলাইনে।
আবার গত বছর থেকে যখন বিশ্বজুরে করোনার মত মহামারি চারিদিক তখন নিত্যপ্রয়োজনীয় থেকে মৌলিক চাহিদার একমাত্র সমধান অনলাইন। একবার ভাবুনতো এমন কঠিন সময়ে যদি ই-কমার্স বলে কিছু না থাকতো কত অসম্ভব সমস্যা তৈরি হত আমাদের জীবনে। আবার নতুন এই ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করেছে লাখ লাখ নতুন কর্মসংথান। অনেকেই চাকুরীর জন্য বসে থেকে বোঝা না হয়ে নিজেই কোন পন্য বা সেবা নিয়ে উদ্দ্যোক্তা হয়ে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ফলে নিজের কর্মসংথান তো বটেই পাশাপাশি অন্যের জন্য সৃষ্টি করছেন কাজের সুযোগ। একই সাথে দেশের অর্থনিতিত যেমন অবদান রাখছেন আবার সমাজ ও পরিবারের উপর থেকে চাপ কমাচ্ছেন। করনার কারনে যখন চাকুরী হারা বা আয় নেমে গেছে তখন ই-কমার্সের মাধ্যমে পেয়েছেন নতুন আয়ের সুযোগ।
২০১৯ সাল থেকে ই-ক্যাব এর প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি রাজিব আহমেদ এর নেতৃতে দেশি পন্যের নতুন জাগরণ সৃষ্টি হয় এই ই-কমার্স কে ঘিরেই। ফলে হারিয়ে যাওয়া বিলুপ্ত হওয়া বা ধুঁকতে থাকা দেশিয় সব পন্য আবার নতুন করে প্রান ফিরে পায় বছর ঘুরতেই। একই সাথে দেশি পন্যের স্বনির্ভরতা ও বিপুল সংখ্যক নারীরা উদ্দ্যোক্তা হয়ে দেশ ও সমাজের অগ্রগতিতে দারুন ভাবে ভুমিকা রাখছে। নতুন বিশ্বের নতুন এই অর্থনৈতিক জাগরণ ও মানুষের সমস্যার সহজ সব সমাধান নিয়ে কাজ করছে ই-কমার্স।