ই-কমার্স সেক্টরে ব্যাবসা করে সফলতা পেতেও প্রয়োজন ধৈর্য, জ্ঞান এবং চেস্টা। অনেকেই আছে কোন প্রকার পরিকল্পনা ছাড়া শুধু মাত্র ঝোকের বসে ই-কমার্স ব্যবসায় নেমে পড়ছেন তাই ই-কমার্সের জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীর কারিকুলামে ই-কমার্সকে অর্ন্তভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) নারী উদ্যোক্তাদের জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ ‘উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম’ (উই)-এর দশম মাস্টারক্লাসে এমন আহ্বান জানান পলক। এবারের মাস্টারক্লাসের মূল বিষয় ছিলো ‘ বিজনেস সাস্টেনিবিলিটি, ফ্রম প্লাটিও টু পিক ‘।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এম.পি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উইর এই মাস্টারক্লাসের মাধ্যমে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণকে সাধুবাদ জানাই। উইর এমন আয়োজনকে সরকারিভাবে স্বীকৃতির বিষয়ে কাজ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আমি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগকেও অনেক ধন্যবাদ জানাই এত দারুণভাবে নারীদের পাশে থাকায়।’
শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ই-কমার্সকে পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর কাছে ই-কমার্সের যে বেসিক নলেজটা পাঠ্যপুস্তকে অথবা পাঠ্যপুস্তকের সহায়ক হিসেবে আমরা যদি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে উইমেন এন্ড ই-কমার্সের সহায়িকা বা কারিকুলামে অর্ন্তভুক্ত করে দিতে পারি তাহলে কিন্ত ই-কমার্স ডিজিটাল লাইফস্টাইলের যে পার্ট এইটা কিন্ত সকালের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
গত ১২ মাসে করোনাকালীন সময়ে ই-কমার্সের মাধ্যমে জরুরী নানা সেবা দেয়া সম্ভব হয়েছে যার ফলে মানুষ ঘরে বসে ই-কমার্সের সুফল পেয়েছে। ১২ মাসে গত ১২ বছরের প্রবৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে ই-কমার্স বললেন পলক।
মাস্টারক্লাসের আয়োজনে ছিলেন উইর গ্লোবাল অ্যাডভাইজর সৌম্য বসু (সিল্ক গ্লোবালের সিইও), উপদেষ্টা জাহানুর কবির সাকিব এবং প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা। এবারের মাস্টারক্লাসে প্রায় চার শতাধিক উদ্যোক্তা অংশ নেন।