ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ, চারপাশে নদীনালায় বেষ্টিত একটি জেলা আমাদের টাংগাইল। ঐতিহ্যের ছোয়া টাংগাইল জেলার সাথে মিলে মিশে আছে সেই প্রাচীন সময় থেকে।
টাংগাইল জেলার ইতিহাস খুবই ঘটনা বহুল। কেননা শতাব্দীর পর শতাব্দী এ এলাকায় ছিলো বিভিন্ন রাজবংশের বাস। সেই খ্রিষ্টপূর্ব দশম থেকে একাদশ শতাব্দীর শুরু থেকে প্রায় ১২০ বছর পাল রাজা রা এ অঞ্চল শাসন করেছেন। এমনকি দ্বাদশ শতাব্দীতে টাংগাইল জেলা সেনদের অধিকারে আসে তার ও প্রমাণ রয়েছে ইতিহাসে। তাহলে কতটা পুরোনো এই জেলার ইতিহাস, আর এই জেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য রাজবাড়ি, পুরনো প্রাসাদ, অনেক পুরনো কীর্তি।।।
ইতিহাস নিয়ে সমৃদ্ধ এ জেলা আগে ময়মনসিংহ জেলার অধীনস্থে ছিলো এবং অনেকবার ই আলাদা স্বতন্ত্র জেলা করার জন্য আন্দোলন হয়েছিলো। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান এর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এই সময় হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী যুক্তফ্রন্ট গঠন করে এবং যুক্তফ্রন্টের কাছে টাংগাইলবাসী টাংগাইল কে পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষণা করার দাবী জানায়। বিভিন্ন দাবীর প্রেক্ষিতে ১৯৬৯ সালের ১ ডিসেম্বর টাংগাইল মহকুমা কে জেলায় উন্নীত করা হয়।
টাংগাইল জেলার নামকরণ নিয়েও মতভেদ এর শেষ নেই। এর মাঝে কিছু মতভেদ আছে এমন যে ব্রিটিশ শাসনের শুরুতে আকুরটাকুর ও শাহবালিয়া মৌজার মাঝের কিছু এলাকায় টেংগু সাহেবের নীল চাষের কারখানা ছিলো এই দুই মৌজার ঠিক সীমানা বরাবর টেংগু সাহেব যাতায়াত এর জন্য উঁচু করে আইল দিয়েছিলেন। যা স্থানীয় লোকেরা টেংগু সাহেবের আইল বলে অভিহিত করেন। এই জায়গা টি থেকে টাংগাইল নামকরন হতে পারে।
আবার অন্য মতবাদে জানা যায় ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন সরকারের আদেশ অনুযায়ী পারদীঘুলা মোয়জায় টান-আইল সদর থানার স্থাপন করা হয়, যা গত শতাব্দীতে টাংগাইল এ পরিবর্তন হয়েছে।
এমন ও মত আছে যে টং অর্থ উঁচু এবং টাংগাইল জেলা প্রাচীনকাল থেকে ই উঁচু ভুমি ছিলো সাথে কৃষির সমন্বয় ও ছিলো এ জায়গায়, আর আইল শব্দ সরাসরি জমির সাথে যুক্ত। এই উঁচু জায়গাগুলোতে আইল এর ব্যাবহার এর মাধ্যমে এর নামকরণ হয়েছে টাংগাইল।
তবে এটা কিন্তু এখনো রয়েছে যে টাংগাইল জেলায় বিভিন্ন এলাকার নামের জন্য আইল শব্দ টি খুব প্রচলিত যেমন ঘাটাইল, বাসাইল, নিকরাইল ইত্যাদি।
ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত টাংগাইল বাংলাদেশ এর অন্যতম বৃহত্তম জেলা যা আয়তনের ভিত্তিতে ঢাকা বিভাগের সর্ববৃহৎ এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে ২য় বৃহত্তম জেলা। টাংগাইল এর পূর্বে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর, পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ, উত্তরে জামালপুর এবং দক্ষিণে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলা অবস্থিত।
ঢাকা পার্শ্ববর্তী এ জেলার আয়তন ৩৪২৪ বর্গ কিলোমিটার । প্রায় চল্লিশ লাখ জনসংখ্যা র বাস এ জেলায়।
বর্তমানে টাংগাইল জেলায় রয়েছে ১২ টি উপজেলা, ১১টি পৌরসভা, ১১৮ টি ইউনিয়ন এবং ২৫১৬ টি গ্রাম।।
বিখ্যাত কিছু স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ নিয়ে এ জেলা শিক্ষার ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক এগিয়ে৷ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, সরকারী বেসরকারি খুব ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ জেলায়। এই জেলাতে ক্যান্টনমেন্ট ও আছে দুইটি।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জমিদারদের বসবাসের সূত্র ধরে এ এলাকায় রয়েছে অনেক জমিদারবাড়ি যা আমাদের পুরনো ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে। মহেরা জমিদারবাড়ি, পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি, ধনবাড়ি নওয়াববাড়ি, পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি, রাঁধা কালাচাঁদ মন্দির, দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি, নাগরপুর জমিদার বাড়ি, সন্তোষ জমিদারবাড়ি, আলোয়া জমিদারবাড়ি, করটিয়া জমিদারবাড়ি এগুলো সব ই বহু বছরের পুরনো।
এছাড়া ও দর্শনীয় আরো অনেক স্থান রয়েছে। যেমনঃ মধুপুর জাতীয় উদ্যান, যমুনা সেতু এবং সেতু পূর্ববর্তী যমুনা রিসোর্ট, ডিসি লেক, আতিয়া মসজিদ,ধলাপাড়া মসজিদ, ভারতেশ্বরী হোমস, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার, গয়হাটার মঠ, বাসুলিয়া, গোপালপুর উপজেলার ২০১ গম্বুজ মসজিদ ইত্যাদি।।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নং সেক্টর এর অধীনে টাংগাইল জেলার কাদেরীয়া বাহিনীর খুব সক্রিয় ভূমিকা ছিলো। অনেক অনেক জন মুক্তিযোদ্ধা রা সক্রিয় ছিলেন টাংগাইল জেলা থেকে। এখানে রয়েছে টাংগাইল এর শহীদ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যা সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল ইসলাম তার টাংগাইল শহরের বাসভবনে স্থাপন করেছেন।
নদীমাতৃক আমাদের এ দেশে টাংগাইল জেলার পাশে বহমান রয়েছে বিভিন্ন নদ-নদী। এক সময় এখানে এত নদ-নদীর দেখা মিলেছে যে টাংগাইল কে ঘীরে শ্লোগান ছিলো
নদী চর, খাল-বিল, গজারির বন
টাংগাইল শাড়ি তার গর্বের ধন।
যদি ও এই শ্লোগান এর টাংগাইল এখন আর নেই কেননা নদী ভরাট হয়ে সমতল ভূমিতে ই পরিণত হওয়ার কারণে নদীর অস্তিত্ব আজ সন্নিকটে। এ জেলা যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এবং এ শহর এবং জেলা শহরের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ধলেশ্বরী, ঝিনাই, বংশাই, বৈরাণ, এলানজানী ও লৌহজং নদী।
এখানে নদীকে ঘীরে ই এক সময় ছিলো অনেক কর্মসংস্থান । ছিলো পোড়াবাড়ির লঞ্চঘাট, যেখানে বিখ্যাত চমচম করা হতো, যার দেখা আর মিলেনা বললেই চলে এখানে।
টাংগাইল এবং চমচম নাম দুটো একদম একসাথে গাঁথা।।। বিখ্যাত এ চমচম শুধু দেশ বিখ্যাত না, জগৎ বিখ্যাত। এ নাম কেউ শুনেনি এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল। টাংগাইল জেলার চমচম দেশ ছাড়িয়ে বাহিরে ও রপ্তানি করা হয়৷ চমচমের ইতিহাস দুইশ বছরের পুরোনো৷ বৃটিশ আমলের সময় থেকে বিখ্যাত এ চমচম এখনো তার ধারা অব্যাহত রেখেছে। আসলে চমচম পোড়াবাড়ির বিখ্যাত যা ধলেশ্বরী নদীর পার্শ্ববর্তী একটা গ্রাম। শোনা যায় ধলেশ্বরী পানি, চিনি ও খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে ই বানানো হতো সেই সময়ে চমচম। এ অঞ্চলে ই গড়ে উঠেছিলো জম জমাট ব্যবসা কেননা ধলেশ্বরী র পাশে বিভিন্ন ব্যবসায়ী রা তাদের নোংগোর ফেলতো এবং কিনে খেত চমচম। কালের বিবর্তনে নদী ভরাট হতে শুরু করলো এবং ব্যবসা তে ও ধ্বস নামলো, সাথে গুটিয়ে নিতে হলো চমচম এর দোকান গুলো ও। এখন পোড়াবাড়ি তে ২ থেকে ৩ টি চমচমের দোকান আছে এবং বাকি ব্যবসায়ী রা অনেকেই পাড়ি জমিয়েছে শহরে পাঁচ আনী বাজারে৷ যেখানে গড়ে উঠেছে চমচম এর রমরমা বাজার।
আমাদের দেশের সবথেকে বড় কুটির শিল্প হলো তাঁত, সেই তাঁতের অন্যতম অংশীদার হলো আমাদের টাংগাইল এর তাঁতশিল্প। হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস জড়িয়ে এ শিল্পের সাথে।। প্রাচীনকাল থেকে দক্ষ কারিগর রা এখানে তাঁতে কাপড় বোনে। যেহতু বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন জমিদারদের শাসনামল ছিলো টাংগাইল এবং তারা খুব বেশি নির্ভর ছিলো তাঁতের জমকালো পোশাকে তাই এর ইতিহাস বহুল প্রাচীন। এমনকি ইবনে বতুতা ও হিউয়েন সাং এর ভ্রমনকাহিনীতে ও টাংগাইল এর তাঁত শিল্পের বর্ণনা রয়েছে। এমনকি টাংগাইল এর তাঁতীরা মসলিন শাড়ি পর্যন্ত বুনন করতো যা এখন আর নেই। টাংগাইল এর শাড়ি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। এর মাঝে ভারত, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এ প্রচুর পরিমাণ টাংগাইল শাড়ি রপ্তানি হয়। ভারতে সবথেকে বেশি প্রায় প্রতি সপ্তাহে পঞ্চাশ হাজার শাড়ি শুধু ভারতে ই যায়। কত রঙ, রূপ এর শাড়ি যে এখানে বোনা হয়, তাঁতীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে বুনন করে একেকটা বস্ত্র। এর পাশাপাশি এখন রয়েছে তাঁতের বিভিন্ন থ্রিপিছ ও। আছে লুংগি, গামছা, বিছানার চাদর, শাল, পাঞ্জাবি।
তাঁতশিল্পে বিখ্যাত আমাদের টাংগাইল এ তাঁত শিল্পের পাশাপাশি রয়েছে টেক্সটাইল মিল, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী ও।।
টাংগাইল এ রয়েছে হাজার বছরের পুরোনো কাসার শিল্পের ব্যবহার৷ একসময় কাগমারী, মগড়া ও সাকরাইল গ্রাম ছিলো কাঁসার জন্য প্রসিদ্ধ সারা দিন রাত এখানে কাসা পিটানোর শব্দে মুখর থাকতো গ্রাম ভর৷। অতীতে এ শিল্প টাংগাইল জেলায় এত বেশি প্রসিদ্ধ ছিলো যে ব্রিটিশ সরকার কাঁসা শিল্পীদের অনেক কে ই পুরস্কার এবং সন্মানে ভূষিত করেছিলেন। দামের তারতম্যের কারণে স্টীল, মেলামাইন, প্লাস্টিক এ শিল্পের জায়গা দখল করে নিলে ও এখন ও এই জেলার অনেক জায়গাতে রয়েছে কাঁসা শিল্পী রা। তৈরি হচ্ছে অনেক সুন্দর সুন্দর ঘটি, বাটি, চামচ, প্লেট, কাপ,জগ, গ্লাস, বদনা, আগরবাতি, বিভিন্ন ধরনের শোপিছ সহ অনেক কিছুই।
টাংগাইল এর এঁটেল মাটি অনেক বড় একটা সম্পদ, যার সম্ভাবনা অনেক থাকলে ও স্বস্তির মুখ দেখেনি এখানকার মৃৎশিল্প। অথচ এখানে বিভিন্ন উপজেলায় ছোট ছোট অনেক কুমার আছেন যারা তাদের শৈল্পিক হাতের ছোয়ায় ফুটিয়ে তোলেন বিভিন্ন ছোট বড় মাটির তৈরি জিনিস পত্র। তা যেমন পুতুল, বিভিন্ন ধরণের খেলনা হয়ে ঘরের শোভা বাড়ায় তেমনি তা আবার হাড়ি, বাটি, ঘটি, চারি, সানকি, বিভিন্ন পিঠা তৈরির সাজ হয়ে ঘরের কাজের প্রয়োজন মিটায়৷ অভাব অনটনে কত কুমার এ পেশা ছেড়েছে কিন্তু থেমে যায়নি বা হাড়িয়ে যায়নি, এখনো আশার মুখ দেখবে বলে অপেক্ষায় থাকে অনেকেই, এখনো তাদের পৈতৃক পেশা কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিন গুণে বাচিয়ে রেখেছেন আমাদের ঐতিহ্য কে।
টাংগাইল এর বাঁশ ও বেতের শিল্পের ও সুখ্যাতি রয়েছে অনেক। বাঁশ দিয়ে যেমন তৈরি হয় বিভিন্ন রকম বাঁশি তেমনি তৈরি হয় দৈনন্দিন ব্যবহার্য্য জিনিস পত্র। তৈরি হয় চাটাই, বেড়া, বেড়, ডুলি, কূলা, ঝাকা, টুকরি, তালাই অনেক কিছুই। এছাড়া টাংগাইল এর বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে পাটিয়াল সম্প্রদায় যারা শীতলপাটির উপর বিভিন্ন নকশা, লতা পাতা, ফুল, মসজিদ, পালকি, নৌকা বিভিন্ন কিছু ফুটিয়ে তোলে এখন ও পাটি বোনার যথেষ্ট কারিগর রয়েছে কিন্তু অভাব রয়েছে এসব আমাদের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ এর। টাংগাইল এর দেলদুয়ার এ এখন ও রয়েছে শীতলপাটি বোনার সাথে যুক্ত অনেক পরিবার।
টাংগাইল কিন্তু কাঠশিল্পের জন্য ও বিখ্যাত। টাংগাইল এর মধুপুর, ধনবাড়ি, কালিহাতি, ঘাটাইল, মির্জাপুর এ উল্লেখযোগ্য কাঠশিল্পের অবস্থান রয়েছে৷ এখানের সূত্রধর বা ছুতার রা প্রাচীন সময় থেকেই খাট, পালংক, পিঁড়ি, জলচৌকি থেকে শুরু করে তৈরি করে আধুনিক টেবিল, চেয়ার, শোকেস, আলমিরা, দোলনা সহ বিভিন্ন ঘরের ফার্নিচার।
টাংগাইল এ এখন ও বিভিন্ন এলাকায় দেখা মেলে ঘানিতে ভাংগানো সরিষার তেল এর যার পুষ্টিমান এবং গুণ অবশ্যই মেশিনের ভাংগানো তেলের থেকে সর্বাধিক।
চামড়া শিল্পের ও দেখা মেলে টাংগাইল এ, যেখানে চামড়া দিয়ে ঢোল, তবলা, ডুগি, ঢাক এসব তৈরি হয়, হয় জুতা ও তৈরি।
পাটশিল্পে ও বিখ্যাত আমাদের জেলা। পাট এবং পাটজাত দ্রব্য দেশের ২য় বৃহত্তম রপ্তানি খাত, যেখানে কন্ট্রিবিউশন আছে আমাদের জেলার, যদিও এখানে নেই চটকল। এখানে উন্নতমানের আঁখ উৎপাদন হলে ও প্রতিষ্ঠিত হয়নি কোন চিনিকল।
এইসব শিল্প তো আছেই, এছাড়া ও এখানে রয়েছে কৃষিজাত পণ্যের সমাহার। টাংগাইল এর মধুপুর উপজেলার আনারস, কলার সুখ্যাতি কে না জানে। এছাড়াও সূর্যমুখী এবং তা থেকে তেল, আলু, বাদাম, সরিষা, সরিষার তেল ও সরিষা ফুলের মধু, লেবু, পেঁপে, মাল্টা, ড্রাগন ফল, স্কোয়াশ, বিভিন্ন ধরনের সবজি, বিভিন্ন ধরনের মসলা যেমন আদা, হলুদ সহ আরো কতকিছু।।। সবকিছুর বাণিজ্যিক ফলন হয় এখানে। সবকিছু মিলিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ আমাদের জেলা।
বিভিন্ন দিক দিয়ে অনেক অনেক পণ্যের সমাহার নিয়ে সমৃদ্ধ আমাদের টাংগাইল জেলা। প্রয়োজন শুধু এগুলোকে তুলে ধরা। এসব সহ নাম না জানা অনেক পণ্য উঠে আসতে পারে ই-কমার্স এর মাধ্যমে এবং ছড়িয়ে যেতে পারে সর্বত্র। জেলাতে রয়েছে এত সম্ভাবনা, কিন্তু সেগুলো সব অজানা ই রয়ে যাবে যদি না আমরা তা নিজেরা জেনে প্রচার করার চেষ্টা করি। ঠিক এই ক্ষেত্রে ই-কমার্স হলো আমাদের সেরা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আমরা তুলে ধরতে পারবো নিজ জেলাকে, জেলার পণ্যকে এবং এভাবেই টাংগাইল এর এসব পণ্য সুনাম কুড়াতে পারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং দেশের বাহিরে। তৈরি হতে পারে নতুন কর্মসংস্থান যা আমাদের বেকারত্বের হার তো কমাবেই সাথে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ এর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে৷ টাংগাইল আমাদের গর্বের জায়গা, ইতিহাসে সব সময় ই ঐতিহ্যমন্ডিত একটি জেলা, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা টাংগাইল এর পুরোনো ঐতিহ্যগুলো ফিরিয়ে আনা এবং তা সম্ভব ই-কমার্স এর মাধ্যমে।
কৃতজ্ঞতা রাজিব আহমেদ কে যিনি ই-কমার্স এর হাল ধরেছেন এদেশে । সারা দেশে ই-কমার্স ছড়িয়ে দিতে স্যার এর অবদান আমরা শ্রদ্ধাভরে সব সময় স্মরণ করি এবং করবো।
লেখক :রোখসানা আক্তার পপি
স্বত্বাধিকারী ইপ্পি শপিং