লোকাল ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে স্টার্টআপ থেকে বড় প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে ২ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট করবে ইভ্যালি ।
আজ (৯ জুন) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (iDEA)” আয়োজন “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) ২০২১” এ কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসমূহ নিয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল।
ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল বলেন, বাংলাদেশে স্টার্টআপ ব্যাপক সম্ভাবনাময়। দেশের প্রযুক্তি খাতে এটির আরও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতে শুরু করা উদ্যোক্তারাও সাফল্যের মুখ দেখছে। সম্ভাবনাময় এ খাতকে সরকারও বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে।
https://www.facebook.com/Techzoom.TV/videos/537909427215419
তিনি বলেন, ফান্ডিং ছাড়া বড় হওয়ার খুবই কষ্টকর। আপনারা জানেন একটা স্টার্টআপ ভালো করার প্যারামিটার হলো ফান্ডিং। এ ফান্ডিং তখনি বিদেশিরা আগ্রহ প্রকাশ করবে যখন লোকাল ইনভেস্টরা এগিয়ে আসবে। আমরা অলরেডি ঘোষণা দিয়েছি যে স্টার্টআপে ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ থাকবে সেখানে ২ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট করবো।
মোহাম্মদ রাসেল আরো বলেন, ইভ্যালি স্টার্টআপ থেকে শুরু করেছিল। করোনায় সবার জন্যই খারাপ সময় গেছে। তবে করোনা ই-কমার্সের জন্য পজিটিভ কিছু নিয়ে এসেছে। আজকে হয়তো ইভ্যালি অনেকটা সফল করোনার কারণে এবং দেশের ইনফাস্ট্রাচারের কারণে। কিন্ত অন্যান্য স্টার্টআপ তাদরকে আমরা এখন সহযোগিতা করতে চায়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার মাত্র দুই বছরের মধ্যে ৫০ লক্ষাধিক গ্রাহক এবং ২০ হাজারের বেশি বৃহৎ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেন। ৮ জন উদ্যোক্তা নিয়ে ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় ইভ্যালির। যাত্রা শুরুর মাত্র দুই বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিতে এখন কাজ করছে প্রায় নয় শতাধিক কর্মী। এছাড়াও চুক্তিভিত্তিক ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দেশজুড়ে কাজ করছে ছয় হাজারের বেশি ডেলিভারি বয় তথা ‘ইভ্যালি হিরো’।
এছাড়া অনলাইন ব্যবসা খাতে ই-ফুডের পর ই-জবস ও ই-হেলথ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।