তার হাত ধরেই এসেছে কত শত সাফল্য। ছোটখাটো অনলাইন বুক বিক্রেতা থেকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সংস্থায় পরিণত হয়েছে অ্যামাজন। এক কামরার অফিস থেকে ১৬৭ বিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। সোমবার সেই অ্যামাজনের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন জেফ বেজোস।
৫৭ বছর বয়সী এই ধনকুবের কোম্পানির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান পদে থাকলেও বেশ কিছু নতুন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
বেজোস আগে অ্যামাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং প্রধান ছিলেন। তবে ই-কমার্স সংস্থার এক্সিকিউটিভ চেয়ার থাকছে তার কাছেই। সঙ্গে প্রযুক্তি ও ই-কমার্স সংস্থার সবথেকে বড় শেয়ারের মালিকানাও থাকছে বেজোসের কাছে। কিন্তু সিইও পদ ছাড়ার পর অ্যামাজনের নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তার ভূমিকা কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বেজোস নিজেও সে বিষয়ে খোলসা করেননি।
এখন তিনি কী করবেন? আগেই প্রকাশ্যে এসেছে, ২০ জুলাই তিনি ভাই এবং সবচেয়ে ভালো বন্ধু মার্কের সঙ্গে মহাকাশে যাচ্ছেন। বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ ভ্রমণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বেজোসের সংস্থা ‘ব্লু অরিজিন’-এর। তারই জন্য এ মাস থেকেই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ শুরু করছে ব্লু অরিজিন।
পাশাপাশি অ্যামাজনের তহবিলে বৈদ্যুতিক পিকআপ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এছাড়া হলিউড তারকা ডোয়েন জনসনের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন বেজোস। সমুদ্রের ধারে হাসি মুখে দেখা যাচ্ছে দুজনকে। তারা জানিয়েছেন, অ্যামাজন স্টুডিয়োজ-এর ব্যানারে একটি সিনেমা করছেন তারা। অর্থাৎ এ বার সিনেমায়ও নজর দিচ্ছেন বেজোস।
তবে সিইও পদ ছাড়ার তিনি কী করবেন, তা নিয়ে বেশ কৌতুহল আছে। তবে শুধু মহাকাশযাত্রা নয়, বিভিন্ন প্রযুক্তিমূলক, সামাজিক কাজেও যুক্ত থাকবেন বেজোস।