গত এক দশকে ই-কমার্স খাতে ব্যবসার গণ্ডি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গেছে। বর্তমানে দেশে আনুমানিক ২ হাজার ৫০০ ই-কমার্স সাইট রয়েছে। ফেসবুকভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগ রয়েছে দেড় লাখের বেশি। অনলাইনে ব্যবসার ৮০ শতাংশই ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরকেন্দ্রিক। তবে করোনায় খাতটি দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্যমতে, দেশে ই-কমার্স খাতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৭৫ শতাংশ। খাতটির আকার ৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সাল নাগাদ এ খাতের আকার ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সেলফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রসাধনী, পোশাক, দুগ্ধজাত পণ্য, স্টেশনারি থেকে শুরু করে আরো নানা পণ্য ও সেবা বিপণন করছে।
মহামারীতে প্রায় স্থবির অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অগ্রণী ভূমিকায় ছিল ই-কমার্স খাত। কভিডকালে পণ্য ও সেবা সরবরাহে এ মাধ্যমের ওপর ভরসা রেখেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ফলে ই-কমার্সের ব্যবসাও এ সময়ে বেড়েছে কয়েক গুণ। খাতটির প্রবৃদ্ধির কারণে পুরনোদের পাশাপাশি চালু হয়েছে নতুন বেশকিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।