আমাদের কিছু ব্যাংক একাউন্ট এখন অপারেশনাল। ইনশাল্লাহ আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা লেনদেন শুরু করব বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ইভ্যালির অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমনটা জানিয়েছেন তিনি।
যাদের রিফান্ড ইস্যু রয়েছে তাদের উদ্দেশ্য রাসেল লিখেছেন, যাদের রিফান্ড পেন্ডিং, দয়া করে আমাদের কনফারমেশন কল এর জন্য একটু অপেক্ষা করবেন। আপনাদের সাপোর্ট এ ইভ্যালির আজ শক্ত অবস্থান হয়েছে। আর কিছুটা সময় চেয়ে নিচ্ছি। একটি অর্ডার ও রিফান্ড পেন্ডিং থাকবে না। আগামী সপ্তাহ থেকে ইনশাল্লাহ সব স্বাভাবিক (অস্বাভাবিক ভালো) ভাবে রান করবে। পাশে থাকুন।
এর আগে গত শনিবার (২৪ জুলাই) রাতে ফেসবুক লাইভে ইভ্যালির সিইও বলেন, ‘একটি প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে যদি ইভ্যালি বন্ধ করা যায় তাহলে হয়তো কোনো একটা গোষ্ঠী উপকার পাবে, কিন্তু তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ ইভ্যালি বন্ধ করা কোনো সমাধান না। কোনো প্রতিষ্ঠানই বন্ধ করে ইনভেস্টমেন্ট ফেরত আনা সম্ভব নয়। আমাদের ব্যবসা করার সুযোগ দিন, আমরা কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের দুটি সংস্থা ই-কমার্স নিয়ে কাজ করছে। গত মাসের ২৯ তারিখ ই-কমার্স পরিচালনা সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এতে করে একটি স্টান্ডার্ড অপারেটর সিস্টেম চালু হয়েছে। যে নির্দেশনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দিয়েছে তা আমাদের মানতে হবে। এ নিয়ম না মানলে মন্ত্রণালয় আমাদের লাইসেন্স বাতিল করে ব্যবসা বন্ধ করে দেবে। এই সিস্টেমে এখন ৪৫-৬০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। এখন সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেমের যে নির্দেশনা দিয়েছে গ্রাহক পণ্য বুঝে না পেলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অর্থ পাবে না। এসব নিয়মের কারণে ভবিষ্যতে ই-কমার্সে গ্রাহকের ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই।’