ই-অরেঞ্জ নামের একটি ই-কমার্স সাইটের বিরুদ্ধে বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর একটি মামলায় প্রতিষ্ঠানের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ মামলার আসামি আরও তিনজন।
ই-অরেঞ্জ ইস্যুতে বিপাকে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির একসময়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফি মোর্ত্তজা। ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা বুধবার রাতে মাশরাফির পল্লবীর বাসার সামনেও ভিড় করেন।
মাশরাফি তাদের জানান, ই-অরেঞ্জের সঙ্গে তার চুক্তি জুলাই মাসেই শেষ হয়েছে। তবে তারপরেও তিনি প্রতারিত গ্রাহকদের পাশে থাকবেন।
মাশরাফির আন্তরিকতা প্রশংসিত হলেও ই-অরেঞ্জের মতো একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, যাচাইবাছাই ছাড়া তারকারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেদের বিতর্কিত করার ঝুঁকিতে ফেলছেন কি না? একই সঙ্গে তারা ভুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির দায় এড়াতেও পারেন কি না?
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রালয়ের চলতি বছরের জুলাই মাসের ৪ তারিখে জারী করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যেকোনো ধরনের ডিজিটাল ওয়ালেট,গিফট কার্ড,ক্যাশ ভাউচার অথবা এমন কোন কিছু যা টাকার বিকল্প হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে এমন কোন কিছু তৈরি করতে হলে অবশ্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।এবং কোন ভাবেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমতি না দিলে টা তৈরি এবং ব্যাবহার করা যাবে না।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমের মহাব্যবস্থাপক বলেছেন, আলেশার কার্ড এই বিজ্ঞাপনের বিষয়টি আমাদের নজরেও এসেছে। আমরা দেখেছি আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেডের এই কার্ড দেখতে হুবুহু ব্যাংক কার্ডের মতই।এই কার্ড চালু করার জন্য তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কোন প্রকার অনুমতি নেয়নি।
আলেশা কার্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এককালীন ৭৯৮০ টাকা দিয়ে যে কেউ আলেশা কার্ড সাবস্ক্রাইব করতে পারবেন। প্রতিবছর ৯৮০ টাকা দিয়ে কার্ডটি নবায়ন করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কোন প্রকার অনুমতি না নেওয়া আলেশা কার্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ায় দেশের মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ।