গ্রাহকদের অর্ডার করা সকল প্রোডাক্ট তাদের হাতে পৌঁছে দিতে চান ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি.কম এর প্রধান নির্বাহী (সি্ইও) মোহাম্মদ রাসেল। এসময় ২০২৫ সালের মধ্যে সবচেয়ে দেশে বড় ই-কমার্স কোম্পানি হবে ইভ্যালি বলেও আশাবাদব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ২০২৫ সালে সবচেয়ে বড় ই-কমার্স কোম্পানি হবে ইভ্যালি, এইটুকু লিখে রাখেন ইভ্যালি বেঁচে থাকলে ইভ্যালিকে লাগবেই।”
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ইভ্যালির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “যারা ইতোমধ্যে অর্ডার করেছেন, তারা যদি প্রোডাক্ট না পান, তবে ক্ষতিগ্রস্তদের লায়াবিটিলি আমার একার। আগামী ৫ মাসে প্রয়োজনে আমার বাবার সবশেষ সম্পত্তিও বিক্রি করে দেবো, তাও আমি আছি, আপনাদের সঙ্গে।”
তিনি বলেছেন, “বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গেটওয়ে পদ্ধতি চালুর মতো চমৎকার একটি বুদ্ধি দিয়েছেন্। যেহেতু আমরা একে প্রোফিটিবিলিটি দিয়ে অ্যাডজাস্ট করতে চেয়েছিলাম, এজন্য আমরা নীতিমালা মেনেই টি-১০ শুরু করি। তবে এসময় পণ্যের যোগানদাতাদের কাছ থেকে একধরনের চ্যালেঞ্জ আসা শুরু করল, মূল ব্যবসাতেও এর প্রভাব পড়ে।ফলে অর্ডার ডেলিভারির গতি কমে গেল।”
সরকার চাইলে ইভ্যালির বর্তমান অবস্থাকে “ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন” বলে বন্ধ করে দিতে পারত, তবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলে ডেলিভারিগুলো দিতে পারতেন না বলেও জানান তিনি।
এসময় বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “লাখো লাখো মানুষের অর্ডার আছে, এগুলো আমাকে দিতেই হবে। এছাড়া কোর্ট থেকেও অর্ডার আছে, দেশের বাইরে যেতে পারব না”
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি “ডিপ ডিসকাউন্ট” পদ্ধতি থেকে সরে গিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা ডিপ ডিসকাউন্ট থেকে সরে এসেছি। এরপরও প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে চায়।