আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী-প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন কারাগারে। এখন পাওয়ানাদারদের কী হবে? গ্রেফতারের পর থেকেই চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন লাখ লাখ ভোক্তা। পুঁজি হারানোর ভয়ে হাজার হাজার উদ্যোক্তা। তারা মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তি দাবি করছেন। মানববন্ধন করছেন। এর সমাধান কোথায়? তাকে মুক্ত করে ব্যবসা চলতে দেওয়া? নাকি কারাগারে রেখে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া?
রাসেল দম্পতিকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে র্যাব যে বক্তব্য দিয়েছে সেখানে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। তার আগে ইভ্যালির বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ; দায়-দেনার বিষয়টি একটু দেখে নেওয়া যাক।
এ পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ইভ্যালির কাছে গ্রাহকদের ও বিভিন্ন উদ্যোক্তা এবং কোম্পানির পাওনা মোট ৫৪৪ কোটি টাকা। বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ আছে ১০৫ কোটি টাকা। তাদের ঘাটতি ৪৩৯ কোটি টাকা। তবে র্যাব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, এই দায়ের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার বেশি। এটি মূলত বস্তুগত সম্পদের হিসাব। এর বাইরে ইভ্যালির আর কী কী সম্পদ আছে তা নিয়ে লেখাটির শেষ অংশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব যেসব তথ্য দিয়েছেন তার মধ্যে মোটাদাগে বলা হয়েছে, ইভ্যালির বর্তমান দায় এক হাজার কোটি টাকার বেশি। পণ্যের মূল্যে ব্যাপক ছাড় দেওয়ায় দেনা তৈরি হয়েছে। তারা গ্রাহকের টাকা দিয়েই অন্য গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতো বা দায় মেটাতো। ইভ্যালি তার দুই হাজার স্থায়ী কর্মী ও ১৩শ অস্থায়ী কর্মীর বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বাবদ মাসে খরচ করেছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এখনো পর্যন্ত কোনো লভ্যাংশ পাননি। তিনি মূলত দক্ষিণ এশিয়ায় একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে চেয়েছিলেন। এরপর বিক্রি করে দেওয়া বা শেয়ার বাজারে নামা বা বিনিয়োগ নেওয়ার পরিকল্পনা বা দেউলিয়া ঘোষণার চিন্তা ছিল। ইভ্যালি একটি পরিবার নিয়ন্ত্রিত ব্যবসা এবং ব্যবসায়িক উত্তরণ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা দিতে পারেনি।
ইভ্যালির কিছু গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছিলাম সাধারণত কোন কোন পণ্য বেশি অর্ডার হয়েছিল এবং ডেলিভারিও বেশি ছিল। যেটা জানা গেল, ইভ্যালিতে বেশিরভাগই দামি পণ্য অর্ডার হতো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, মোটরসাইকেল, এসি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন ও টেলিভিশন। ছোট থেকে বড় পণ্যের অর্ডার ও ডেলিভারির সাধারণ ধারণায় গ্রাহকরা বলছেন, তাদের প্রতিটি অর্ডারের গড় মূল্য ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার কম নয়।
ইভ্যালি থেকে প্রাপ্ত ও গণমাধ্যমে উল্লেখিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের আগস্টে সরকারি সংস্থার নজরদারির পূর্ব পর্যন্ত মোট ৭০ লাখ অর্ডার ডেলিভারি করেছে। সরকারি সংস্থার নজরদারি শুরু হওয়ার পর থেকে গত এক বছরে নতুন অর্ডারের পণ্য সরবরাহের পাশাপাশি পূর্বের অর্ডার থেকে তিন লাখ পণ্য সরবরাহ করেছে। অর্থাৎ ইভ্যালি শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৭৫ লাখ পণ্য ডেলিভারি করেছে। প্রতিটি পণ্যের দাম গড়ে ৪০ হাজার টাকা হলে মোট ডেলিভারিকৃত পণ্যের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠান ঘাটতি ৫০০ কোটি হলে এই ঘাটতির পরিমাণ মোট লেনদেনের প্রায় দেড় (১.৫%) শতাংশ।
র্যাবের বক্তব্য অনুযায়ী, ইভ্যালি দুই হাজার স্থায়ী কর্মী ও ১৩শ অস্থায়ী কর্মীর পিছনে প্রতি মাসে খরচ করেছে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত ৩০ মাসে ইভ্যালি তার কর্মীদের পিছনে ব্যয় করেছে প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা। এছাড়া বিজ্ঞাপন ও সিএসআর বাবদ তাদের একটি বড় অংকের অর্থ ব্যয় হয়েছে। এর বাইরে গ্রাহককে ডিসকাউন্ট দিয়ে যে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে তার পরিমাণ সাধারণ ধারণা অনুযায়ী আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। অর্থাৎ ইভ্যালির ব্যাপক ডিসকাউন্ট দিয়ে ডেলিভারির সংখ্যা অনুযায়ী দেনার পরিমাণ আরও বেশি হলে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।
এখানে একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সরকারি নজরদারি শুরু হওয়ার পর থেকে গত এক বছরে তিন লাখ পুরনো অর্ডার ডেলিভারি করেছে ইভ্যালি। অর্থাৎ ছুটির দিন বাদ দিলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার পুরনো অর্ডারের পণ্য সরবরাহ করেছে। ইভ্যালি যদি সাধারণভাবে ব্যবসা অব্যাহত রাখতে পারে এবং এই হারে পুরনো পণ্য সরবরাহ করতে পারে তাহলে গ্রাহকরা একটা সময় তার পণ্য পেতে পারে। এই জায়গায় গ্রাহকরা ইভ্যালির ওপর আস্থা রেখেছে। বহু গ্রাহকের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তারা এমনই জানাচ্ছেন। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে চেয়ারম্যান-সিইওকে কারাগারে রাখলে তাদের একটি পণ্যও পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া ইতিপূর্বে এভাবে যাদের কারাগারে নেওয়া হয়েছে সেসব ঘটনায় গ্রাহকরা কিছুই পাননি। ডেসটিনি, ইউনিপে টু ইউ, যুবকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ইভ্যালির চেয়ে বেশ বড় অঙ্কের। তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংকে অনেক টাকা জমা ছিল এবং সম্পদও ছিল। কিন্তু গ্রাহকরা এখনো কিছুই পাননি।
তবে ডেসটিনি, ইউনিপে টু ইউ বা যুবকের মতো আত্মসাৎকারীদের থেকে ইভ্যালির কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে তিন হাজার তিনশ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। গত এক বছরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নানাভাবে তদন্ত করে ইভ্যালি বা এর কর্ণধাররা কেউ কোনো অর্থ পাচার করেছে বা সরিয়ে ফেলেছে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাননি। সাধারণত বড় অংকের কোনো অর্থ ব্যাংক থেকে ক্যাশ করলে বা ব্যাংক থেকে ব্যাংকে ট্রান্সফার করলে তা গোপন করার সুযোগ নেই। সুতরাং এখনো পর্যন্ত আমরা এটাই জানি, ইভ্যালি থেকে কোনো টাকা সরিয়ে ফেলা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির মোট ডেলিভারির সংখ্যা, ডিসকাউন্ট, অফিস খরচ, বিজ্ঞাপন ও সিএসআর খরচের বিপরীতে ঘাটতির পরিমাণেও এটা অনুমেয় হয়, অতিরিক্ত বড় কোনো অর্থ এখানে তছরুপ হয়নি।
এসব কারণে ইভ্যালির গ্রাহকরা রাসেল ও তার স্ত্রীর মুক্তি এবং ইভ্যালির ব্যবসা চালু রাখার দাবি জানাচ্ছেন। ইভ্যালির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪০ লাখের বেশি। এর মধ্যে এ পর্যন্ত মামলা করেছে মাত্র তিন বা চার জন। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার একটি মামলা। এমন মামলায় টাকা পরিশোধ হলে মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া উচিৎ। কিন্তু তাকে বিশেষ উদ্যোগী হয়ে গ্রেফতার ও বারবার রিমান্ড আবেদন ভিন্ন অর্থ বহন করে।
বেশিরভাগ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত থাকায় নানা শ্রেণির-পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। গত সপ্তাহে একটি ছেলে আমাকে ফেসবুকে মেসেজ পাঠিয়ে জানাল, সে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সেখানের দশ-বারো জন কর্মচারীকে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে। ব্যবসায়িক কৌশল হিসেবে প্রতিযোগীরা অনেক ক্ষেত্রে এমন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে। আমি নিজে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে দেখলাম, ইভ্যালির বিরুদ্ধে একযোগে ৬৪ জেলায় মামলা দায়ের করার জন্য এক ব্যক্তি অন্যদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এসব দেখে বোঝা যায়, ব্যবসায়িক প্রতিযোগী বা বিশেষ কোনো মহল ইভ্যালির বিরুদ্ধে অর্গানাইজড মুভমেন্ট চালাচ্ছে। ৪০ লাখ গ্রাহক থেকে পাঁচ-দশ জন বুঝে বা না বুঝে এমন ফাঁদে পা দেবে না তা বলা যায় না। কিন্তু সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সব বিষয় মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ইভ্যালির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান সমস্যার সমাধান কী? প্রতিষ্ঠানটির দুই প্রধানকে কারাগারে রেখে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া? নাকি তাদের শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণে রেখে ব্যবসা চলতে দেয়া?
এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা কয়েকটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি। প্রথমত, তাদের কারাগারে রেখে ব্যবসা বন্ধ করে দিলে কী কী ফলাফল আসতে পারে? সময়মতো পণ্য বা টাকা না দেওয়ায় রাসেল ও অন্যদের শাস্তি হতে পারে। কিন্তু কার কী দণ্ড হলো তা দিয়ে গ্রাহকের কিছুই যায় আসে না। গ্রাহকের প্রয়োজন তার অর্থ বা মালামাল পাওয়া। ডেসটিনি, যুবক, ইউনিপে টু ইউ বা অন্যান্য দৃষ্টান্তগুলো বলছে, প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে, মালিক কারাগারে থাকলে গ্রাহক তার অর্থ বা মালামাল কখনোই পান না। দেশীয় বড় বড় ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান এভাবে বন্ধ হতে থাকলে লাভ হবে একমাত্র বিদেশি ই-কর্মাসগুলোর। যারা বাংলাদেশে একচেটিয়া বাজার পাবে। ইভ্যালির সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার উদ্যোক্তা তাদের পুঁজি হারাবে। ই-কমার্সে মানুষের আস্থা ফিরে আসা কঠিন হয়ে পড়বে। কয়েক হাজার মানুষ বেকার হবে।
দ্বিতীয়ত, মোহাম্মদ রাসেলকে মুক্ত করে ব্যবসা চলতে দিলে কী হবে? রাসেল ও তার স্ত্রী বিদেশে যেতে পারছেন না। সুতরাং তাদের হয় কারাগারে যেতে হবে, না হয় মানুষের টাকা বা পণ্য দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানটি পণ্য দেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তাকে মুক্তি দিয়ে ব্যবসা করতে দিলে সেটা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাটা আছে। গত এক বছরে তারা তিন লাখ পুরনো অর্ডার ডেলিভারি করেছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে দেনা কমতে থাকবে। ফলে সময়ের ব্যবধানে গ্রাহকরা টাকা বা পণ্য পেতে পারে। ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ পাওনাদারদের সঙ্গে বসে অনুরোধ করে দেনার পরিমাণ কমিয়েও ফেলতে পারে। এছাড়া বিনিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকলে এবং সেটি পেলে একটা ভালো সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। ব্যবসা অব্যাহত রেখে লাভ করতে পারবে। সবশেষে একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে যেতে পারে।
ইভ্যালির বস্তুগত সম্পদের হিসাব ধরে প্রতিষ্ঠানটির ঘাটতি উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু ই-কমার্স যারা ভালো বোঝেন তারা আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করবেন। যেমন, ইভ্যালির মার্কেট সাইজ। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক রয়েছে। অ্যাপ ইনস্টল হয়েছে ৭০ লাখের বেশি। এই বিরাট বাজার থেকে যদি ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ গ্রাহকও তারা ধরে রাখতে পারে তাহলে বাংলাদেশে অন্যতম শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে পারবে। মার্কেটিংয়ের ভাষায় লাইফ টাইম ভ্যালু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন কাস্টমার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কতদিন সম্পর্ক রাখবেন সেটিকে ওই কাস্টমারের লাইফ টাইম ভ্যালু বলেন। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত গবেষণাগুলো বলে, বড় আকারে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাস্টমাররা ৬ থেকে ১০ বছর সম্পর্ক রাখে। ইভ্যালির যদি অর্ধেক কাস্টমারের সঙ্গে ৫ বছরও সম্পর্ক রাখতে পারে তাহলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে অল্প সময়ে বিপুল লেনদেন, পণ্যের অর্ডার পাওয়া, ডেলিভারি করা, ব্র্যান্ডভ্যালু মিলিয়ে বিনিয়োগ পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
যেহেতু আটকে রেখে কোনো সমাধান হবে না। কিন্তু মুক্তি দিয়ে ব্যবসা করতে দিলে ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে, সেহেতু সেটাই করা উচিৎ। তবে এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিকে কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। ইভ্যালির বিষয়ে কিছু প্রস্তাব হলো,
১. সবকিছু যেন ঠিকঠাক চলে এজন্য ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ, ক্রেতা, বিক্রেতা ও সরকারি প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি হতে পারে। যে কমিটি ব্যবসা তদারকি করবে।
২. প্রতিষ্ঠান থেকে যা লাভ আসবে তা প্রতি মাসে বা একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর পাওনাদার মেটাবে।
৩. পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ হবে পাওনার সিরিয়াল বা টাকার পরিমাণের শতাংশ হারে।
৪. বিনিয়োগ পেলে বিনিয়োগের টাকা পরিশোধ করে দিতে হবে।
ইভ্যালির ব্যবসার যে সম্ভাবনা রয়েছে সেটিকে যদি আমরা কাজে লাগানোর সুযোগ দিতে রাজি না হই তাহলে একই সুযোগ আমরা অন্যদের দিতে পারি না। ইভ্যালির কাস্টমার ও লেনদেনের আকারের সঙ্গে তার ঘাটতি খুব বেশি নয়। দেশে বর্তমানে বহু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের ব্যবসার আকার ইভ্যালির চেয়ে একেবারেই নগণ্য। কিন্তু তারা ইভ্যালির চেয়ে অনেক বেশি ঘাটতিতে রয়েছে। আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিৎ। আইনের প্রয়োগও সমান হওয়া উচিৎ।
পলাশ মাহমুদ ।। সংবাদকর্মী