ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন গ্রেপ্তারের পর গ্রাহকদের জন্য এক নতুন নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ শনিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর ৫ টা ১০ মিনিটে প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ওই নির্দেশনা পোস্ট করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক রাসেল গ্রেপ্তারের পর হাজার হাজার পাওনাদারের উৎকণ্ঠার মধ্যে ইভ্যালির অফিসও ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এখন বাসায় থেকে অফিসের কাজ করবেন বলে আজ সকালে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির ফেইসবুক পাতায় ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে ইভ্যালি বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অংশীদার হয়ে দেশের অনলাইন কেনাকাটাকে সবার হাতের মুঠোয় নিয়ে যেতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি অবিরাম। আমরা এই কাজকে এগিয়ে নিতে চাই। চাই আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে চালিয়ে যেতে। আর এই সুযোগ পেলে সকলের সব ধরনের অর্ডার ডেলিভারি দিতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলাম, আছি, থাকবো।
ইভ্যালির ফেইসবুক পাতায় দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়,বর্তমান পরিস্থিতিতে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আমাদের সকল এমপ্লয়িগণ শঙ্কার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন। আমাদের সম্মানিত সিইও এবং চেয়ারম্যান কারাগারে থাকায় আমাদের ব্যাংকিং-ও সাময়িকভাবে বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সার্ভারসহ, অফিসের খরচ চালানো এবং আমাদের এমপ্লয়িগণের দায়িত্ব নেয়ার বিষয়গুলোতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সুযোগ ৪ মাসের মধ্যেই সকল জটিলতা গুছিয়ে উঠা সম্ভব :মোহাম্মদ রাসেল
আমাদের উকিলের মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত সিইও’র বক্তব্য হলো- সুযোগ এবং সময় পেলে আমাদের পক্ষে ৪ মাসের মধ্যেই সকল জটিলতা গুছিয়ে উঠা সম্ভব। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পুনরায় দ্রুত সার্ভার চালু করে দেয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রাহক এবং সেলারদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট। দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হতে আমাদের এই যাত্রায় আমরা আপনাদের পাশে পেয়েছি সবসময়। আপনাদের এই ভালোবাসায় আমরা চিরকৃতজ্ঞ। সামনের দিনগুলোতেও আমরা এভাবে আপনাদের পাশে চাই। আপনাদের ভালোবাসার শক্তি আমাদের অদম্য পথচলার প্রেরণা।