আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়েই নিজেদের কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় উচ্চ আদালতের করে দেয়া অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ডের প্রধান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়াই তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে মঙ্গলবার প্রথম সভা করেছে এই পরিচালনা বোর্ড।
সভাশেষে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিক বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি এই প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে বাঁচানো যায়। আমরা অনেক খোঁজখবর পেয়েছি। অনেক ইনফরমেশন পেয়েছি। অনেক কর্মকর্তার নাম পেয়েছি। সবাইকে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’ গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গ্রাহকরা কত পান না পান, সেগুলো তো আমার হিসাব করতে হবে। এদের কত সম্পদ আছে, সেটা হিসাব করতে হবে। এগুলো অডিট করার পর এসব বিষয় আসবে। এর জন্য অনেক সময় লাগবে।’ এছাড়া ‘গ্রাহকের অর্থ যতটা সম্ভব ফেরত দেয়া যায়’ সেই চেষ্টাটা থাকবেও বলেও জানান মানিক।
এদিকে সভাশেষে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবির মিলন বলেন, আদালতের নির্দেশনায় আমরা আজ ২৬ অক্টোবর প্রথম বৈঠক করেছি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে অডিট করা। তবে অডিট করতে গেলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনো ডকুমেন্টস পাচ্ছি না। কারণ প্রতিষ্টানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জেলে। কর্মীরাও চাকরি ছেড়েছে। আমরা শূন্যে ভাসছি। তিনি বলেন, যারা আতঙ্কিত আছেন তারা আতঙ্কিত হবেন না, যারা হতাশ বা বিচলিত তারা হতাশ হবেন না। আস্থা বা বিশ্বাস রাখুন, অপেক্ষা করুন।