ই-কমার্স ব্যবসবাসহ জেকাবাজারের সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গ্রাহকরা।
রাজবাড়ী জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরীফুল ইসলাম শহরের পান্না চত্তরের নান্নু টাওয়ারে জেকাবাজারের সিলগালা কার্যালয়ের ডব, সানসিল্ক স্যাম্পু, গ্লাস ও টয়লেট ক্লিনারসহ সকল ভেজাল পণ্য জব্দ করেন। পড়ে এসব পণ্য শ্রীপুরে ধ্বংস করা হয়।
সহকারী পরিচালক শরীফুল ইসলাম জানান, জেকাবাজারের নামে কোন ব্যবসা চলানো যাবে না। তাদের যে সকল বৈধ মসলা, ফেব্রিক্স ও ইলেট্রনিক পণ্য আছে, সেগুলোর মাধ্যমে ব্যবসা তারা করতে পারবে। পরবর্তীতে কোথাও কোনভাবে যদি তারা পুনরায় ব্যবসা চালানোর চেষ্টা করে। তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এছাড়া গ্রাহকদের টাকা ফেরত পাবার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের যে বৈধ ব্যবসা আছে। সেগুলোর আয়ের মাধ্যমে তারা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেকাবাজারের পরিচালক সাঈদুল বাশার, রাশেদুল ইসলামসহ অনেকে।
জেকাবাজারের পরিচালকরা জানান, তাদের যে সম্পদ আছে তা দিয়ে আস্তে আস্তে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবেন। তাদের মোটরসাইকেল, জমি, ইলেকট্রনিক ও ফেব্রিক্স পণ্য রয়েছে।
এর আগে ২ নভেম্বর ভোক্তা অধিকার অভিযান চালিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনার দায়ে জেকাবাজারকে সিলগালা ও ভেজাল পণ্য বিক্রির দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে।