নীলফামারীর ছেলে মো. খাইরুল্লাহ গৌরব। বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে চাকরি পেয়েছেন।
গৌরব জেলা সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ির বড় ছেলে। তার বাবা আলমগীর সরকার ও মা স্বপ্না আলমগীর। চাকরির বিষয়টি গৌরবের পরিবার নিশ্চিত করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, খাইরুল্লাহ গৌরব প্রাথমিকে নীলফামারী শহরের উদয়ন শিশু বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা শুরু করেন। মেধার পরিচয় দিয়ে প্রাথমিকে স্কুল পড়া শেষ করে নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর নীলফামারী সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে বিজ্ঞান বিভাগ জিপিএ-৫ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে মেধা তালিকায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে পড়াশোনার সুযোগ পান। সেখান থেকে সফলভাবে কম্পিউটার অ্যান্ড সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ২০১৫ সালে স্নাতক শেষ করেন।
পড়াশোনা শেষ করে একদিনও বসে না থেকে অরবিটেক্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। সেখানে তিন বছর চাকরি করার পর ডাক পান থাইল্যান্ডের টুসিটুপি কোম্পানিতে। সেখানে এক বছর চাকরি করে অবশেষে অনেক চেষ্টার পর ডাক পান অ্যামাজনে।
খাইরুল্লাহ গৌরব বলেন, আমার এই জার্নিটা সহজ ছিল না। এর পেছনে ছিল অনেক ত্যাগ, কঠোর পরিশ্রম আর ডেডিকেশন। পড়াশোনা শেষ করেই একদিনও বসে না থেকে দেশের একটি কোম্পানিতে যোগদান করি। এরপর থেকেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের বৃহত্তম কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করব। সেই লক্ষ্য অনুযায়ী আমি কাজ করে গেছি। কথায় আছে ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’- আমিও কষ্টের ফল পেয়েছি। অ্যামাজনের মতো এমন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। এই দীর্ঘ পথচলায় আমার পরিবার আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে। যার কারণে আমি এতো দূর আসতে পেরেছি।
বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে সন্তানের চাকরি পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করেন গৌরবের বাবা আলমগীর সরকার বলেন, আমার ছেলে ছোট থেকেই পড়াশোনায় অনেক মেধাবী ও পরিশ্রমী ছিল। তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট। তার পরিশ্রম ও মেধার ফলেই আজ সে সফলতার চূড়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। যা দেশবাসী ও নীলফামারীবাসীর জন্য গৌরবের বলে আমি মনে করি। ছেলের এ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গৌরবের মা স্বপ্না আলমগীরও।