ভুয়া রিভিউ দেওয়ার অভিযোগে ১০ হাজারেরও বেশি ফেসবুক গ্রুপ অ্যাডমিনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে অ্যামাজন ডটকম। তাদের অভিযোগ প্রোডাক্টের বিনিময়ে ভুয় রিভিউ বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে পাবলিশ করা হয়েছে।
বিশ্বখ্যাতই-কমার্স কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া থেকে পাওয়া তথ্য থেকে খারাপ অভিনেতা ও ভুয়া রিভিউ চিহ্নিত করে তা সরানোর কাজ করা হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউনাইটেড কিংডম, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি ও জাপানে অ্যামাজনের স্টোরের বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে এই বিভ্রান্তিকর রিভিউগুলো পোস্ট করা হয়েছে।
অ্যামাজনের সেলিং পার্টনার সার্ভিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ধর্মেশ মেহতা জানিয়েছেন, ‘গ্রাহকের চোখে পড়ার আগেই আমাদের দল অসংখ্য সন্দেহজনক রিভিউ তা বন্ধ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতারকদের মুখোশ খুলতে এই মামলা আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
মেহতা আরও বলেন, ভুয়া রিভিউয়ারদের থেকে আমাদের গ্রাহককে রক্ষা করার জন্য এটাই একমাত্র উপায়।’
ফেসবুক গ্রুপে এই ধরনের ভুয়া রিভিউ পোস্ট করে প্রতারকরা কয়েকশো প্রোডাক্টের অনুরোধ করে। ট্রাইপড, কার স্টিরিও সহ আরও অনেক ধরনের প্রোডাক্ট ভুয়া রিভিউ পোস্ট করে নিয়ে নেয় প্রতারকরা।
এই ধরনের ভুয়া প্রোডাক্ট রিভিউয়ের একটি গ্রুপে প্রায় ৪৩ হাজার সদস্য ছিলেন। চলতি বছরেই এই গ্রুপ বন্ধ করে দেয় মেটা।
অ্যামাজনের তদন্তে জানা গেছে যে গ্রুপের অ্যাডমিনরা নিজেদের কার্যকলাপ লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন।বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুকের শনাক্তকরণ এড়াতে চেয়েছিলেন এই অ্যাডমিনরা।
বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন প্রোডাক্টের ভুয়া রিভিউ ঠেকাতে বদ্ধপরিকর অ্যামাজন। এই কাজে সারা বিশ্বে প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি কর্মী কাজ করে।
এই কর্মীরা বিভিন্ন ভুয়া রিভিউ ও প্রতারকদের চিহ্নিত করার কাজ করেন।
২০২০ সালের পর থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে প্রায় ১০ হাজার ভুয়া রিভিউ শনাক্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি রিভিউ ইতিমধ্যেই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নিয়েছে মেটা। ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহারের নিয়ম ভঙ্গের কারণে এই ভুয়ো রিভিউগুলো ডিলিট করেছে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা। তবে এই বিষয়ে নিয়মিত তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট।