ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি কি দেউলিয়া হচ্ছে নাকি নতুন ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে এমন প্রশ্ন এখন আলোচনার শীর্ষে। দীর্ঘ ৯ মাস পর চলতি মাসেই অডিট রিপোর্ট জমা দিতে যাচ্ছে ইভ্যালি পরিচালনা বোর্ড।
তবে সার্ভার উদ্ধার করতে না পারায় অসম্পূর্ণ অডিট রিপোর্ট জমা দিতে যাচ্ছে ইভ্যালি পরিচালনা বোর্ড। দফায় দফায় সার্ভার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান কাছে তথ্য চাওয়া হলেও তা দিতে রাজি হয়নি ইভ্যালির সার্ভার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন।
ইভ্যালি বলছে, রাসেল মুক্তি পেলে সার্ভার উদ্ধার, গ্রাহকের পাওনা টাকা পরিশোধসহ নতুন ভাবে চালু করা সম্ভব।
বোর্ড বলছে, ইভ্যালির দেনার পরিমান অনেক, নির্ভুল অডিট পরিচালনায় দফায় দফায় আমাজনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও মেলিনি সার্ভারের তথ্য। হদিস নেই গ্রাহকের শতশত কোটি টাকার লেনদেনের।
এমন পরিস্থিতিতে অসুম্পূর্ণ অডিট রিপোর্ট জমা দিতে যাচ্ছে পরিচালনা বোর্ড, এমনটাই জানিয়েছেন ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
এদিকে, ইকমার্স প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের পর তাদের গোডাউনে আটকে আছে প্রায় ২৬ কোটি টাকার মালামাল আর গেটওয়েতে আটকে আছে গ্রাহকের অন্তত ২৫ কোটি টাকা। তবে এসব মালামাল ও অর্থ ছাড়ে প্রয়োজন সার্ভারের তথ্য যা কিনা ইভ্যালি সার্ভার যারা খুলেছে তাদেরকে ছাড়া দিতে কোনো ভাবেই দিতে রাজী হচ্ছে না সার্ভার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান।
ইতোমধ্যেই ইভ্যালির শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলমান আছে। প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন ভাবে পরিচালনা করতে আদালতকে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ইভ্যালির আইনজীবীরা।
এরমধ্যে নতুন বিনিয়োগ আনা, মার্চেন্টদের সমন্বয় করা, গ্রাহকের পাওনা পরিশোধে নতুন উদ্যোগ প্রাধান্য দিচ্ছে ইভ্যালি।