বিজয় র্যালি করেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির মার্চেন্টরা। মিছিলে প্রায় দুই শতাধিক মার্চেন্ট অংশগ্রহণ করে। এ সময় ইভ্যালির সদ্য বিদায়ী এমডি মাহবুব কবির মিলনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমারস কো-অর্ডিনেশন এর আয়োজনে ধানমন্ডির ইভ্যালির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন তারা।
বিজয় র্যালিতে আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা রাসেলের মুক্তি দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
র্যালিতে অংশ নেওয়া মার্চেন্টরা বলেন, শুরু থেকেই আমাদের দাবি ছিল ইভ্যালির কার্যক্রম বন্ধ না করে যেন ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়। আমাদের দীর্ঘদিনের সে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। সেজন্য আমরা হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানাই। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ব্যবসা চালু করলে গ্রাহক পর্যায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসবে। আমরা দীর্ঘসময় ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। বিভিন্ন মহলের চেষ্টায় এখন আবার ব্যবসা শুরু হচ্ছে। তাই বাকি সময়টুকুও ধৈর্য ধরার মাধ্যমে এর সফলতা পেতে চাই।
ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজ্যুমারস কো-অর্ডিনেশনের সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন বলেন, আমরা চাই ইভ্যালির কার্যক্রম দ্রুত গতিশীল করতে প্রতিষ্ঠাতা রাসেলের মুক্তি দেওয়া হোক। কারণ তার ফিরে আসার ওপর অনেকের ভাগ্য নির্ভর করছে। এই পরিচালনা পর্ষদ দীর্ঘদিনেও সার্ভার রিকভারি করতে পারেনি। রাসেল ফিরে এলে হয়তো তার মাধ্যমে সার্ভার রিকভারি সম্ভব হবে। এতে করে পুরোনো গ্রাহকদের সব তথ্য পাওয়া যাবে।
ইভ্যালিকে পর্যাপ্ত সময় দিলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব উল্লেখ করে বাংলাদেশ ই-কমার্স কাস্টমার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল আলম সুজন বলেন, আমরা শতভাগ আশাবাদী যে ইভ্যালিকে পর্যাপ্ত সময় দিলে এটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। হাইকোর্ট থেকে যে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেওয়া হয়েছিল সেটি গত এক বছরেও গ্রাহক বা মার্চেন্টদের একটি টাকাও ফেরত পারেনি। এখন যদি ইভ্যালিকে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে দেওয়া হয় তাহলে আমার বিশ্বাস গ্রাহকরা পণ্য পাবে এবং মার্চেন্টরা তাদের ব্যবসা করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের আদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দায়িত্ব পাচ্ছেন কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। এরইমধ্যে শামীমা নাসরিন, তার মা ও বোনের জামাইকে ইভ্যালির নতুন পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।