ইভ্যালির সহ-উদ্যোক্তা শামীমা নাসরিন বলেছেন, আমাদের স্বপ্ন ছিল চীনের জ্যাক মার মতো। যদি সে ই-বেকে পেছনে ফেলে ব্যবসায়িক কৌশল দিয়ে পৃথিবীর বুকে আলিবাবাকে একটি গৌরবোজ্জ্বল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারবো না? এই লক্ষ্যে মোহামম্দ রাসেল ই-কমার্স বিজনেস শুরু করেন। আমাদের মূল লক্ষ্যই ছিল পণ্য বিক্রয়ে পরিচালন ব্যয় কমিয়ে গ্রাহকদের আকর্ষণীয় মূল্যে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করা। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল সঠিক সময়ে বিনিয়োগ উত্তোলন না করা এবং গ্রাহক ও বিক্রেতাদের পাওনা দিয়ে ব্যবসা গড়ে তোলা।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে চলবে, তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম কেমন হবে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, এসব বিষয় জানাতে এই অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করে ইভ্যালি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির আগের অর্ডার, রিফান্ড ও ডেলিভারির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
তবে এখানে কোনও প্রতারণা ছিল না দাবি করে শামীমা নাসরিন বলেন, আপনারা বাড়ি করার জন্য অগ্রিম অর্থ দেন। এখন ডেভেলপার আপনাকে সঠিক সময়ে বাড়ি বুঝিয়ে দিতে না পারলে সেটা অন্যায়। তবে এই বিজনেসকে অন্যায় বলা সঠিক নয়। আমাদেরটা বাড়ি না, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ছিল এবং প্রাথমিক দায় ভবিষ্যৎ মুনাফা দিয়ে পরিশোধ করার পরিকল্পনা ছিল। আমরা মনে করি, এই পরিকল্পনায় আমাদের ত্রুটি ছিল। নতুন এই যাত্রায় আমরা প্রথম দিন থেকে মুনাফা করে পণ্য বিক্রি করবো। যেহেতু আমাদের সঙ্গে সরকার এবং ই-ক্যাব প্রতিনিধি আছেন, সেহেতু আগের ভুলের পুনরাবৃত্তির সুযোগ নেই।