ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি মণিপুরী তাঁত পণ্যের এক্সিবিশন হয়েছে। গতকাল ৫ই ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর ক্লাবমিক্স রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে এই প্রদর্শনী। এতে সভাপতিত্ব করেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সাবেক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব আহমেদ।
সভাপতির বক্তব্যের রাজিব আহমেদ বলেন, ”দিনে দিনে ডলারের সংকট বড়াছে। তা মোকাবিলা করতে দেশি পণ্যের প্রচার, ব্যবহার ও উৎপাদনে নজর দেওয়া জরুরি। আমাদের ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলোর জিআই স্বীকৃতি ও নিবন্ধন পেতে কাজ করা দরকার। জিআই পণ্য স্বতন্ত্র ও স্থানীয় হওয়ার কারণে তা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। যা আমাদের রিজার্ভ এবং অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।”
এক্সিবিশনের প্রধান অতিথি ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)-এর সভাপতি কাকলী তালুকদার, বিশেষ অতিথি নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক জাকির তালুকদার এবং ঢাকা ও ঢাকার বাহির থেকে অর্ধশত দেশি পণ্যের ই-কমার্স উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাকলী তালুকদার বলেন, “দেশি পণ্যের প্রচারের সাথে সাথে মণিপুরী পণ্যের প্রচার ও প্রসার বেড়েছে। সেজন্য বর্তমানে মণিপুরী বলতে আমরা শুধু শাড়িই বুঝি না। বরং পার্স, ব্যাগ, স্যান্ডেল, গহনা ইত্যাদিও দেখতে পাচ্ছি। একটি পণ্যের যত বেশি ফিউশন আসবে ও ব্যবহার বাড়বে তত বেশি এর চাহিদা বৃদ্ধি বাড়বে। তবে এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে কজ করতে হবে উদ্যোক্তাদের।”
বিশেষ অতিথি জাকির তালুকদার উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “জিআই পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলে মণিপুরি হস্তশিল্পের আইনি সুরক্ষা সম্ভব হবে এবং ক্রেতাদের আসল মণিপুরি পণ্য চিনতে সুবিধা হবে। দেশি পণ্যের সঠিক তথ্য সরবরাহে ইডিসি একটি অন্যতম মাধ্যম।”
মূলত মণিপুরী পণ্যের প্রচার, প্রসার ও জ্ঞানগর্ভ আলোচনা ছিল এই এক্সিবিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য। যেন আলোচনার মাধ্যমে জানা যায়, মণিপুরী হস্ত চালিত তাঁত পণ্যের জিআই স্বীকৃতি পেতে দিক নির্দেশনা।
এক্সিবিশনে ৭ জন উদ্যোক্তা হস্ত চালিত মণিপুরী তাঁতের শাড়ি, গামছা, ওড়না, ব্যাগ, মাফলারসহ বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে ফিউশন করে মণিপুরী বেবি শাড়ি, ফ্রক, কুশন কাভার, কটি, পঞ্চ, পার্স, গহনার পসরা সাজিয়েছে। এতে তাদের প্রায় লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে।