নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা এবং লটকনের জিআই স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নরসিংদী। এই লক্ষ্যে গতকাল (২৮ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি বৈঠক হয়। এরপর জিআই আবেদনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)।
উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মোঃ মোস্তফা মনোয়ার, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, ইডিসির প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদার, ট্রেজারার উম্মে সাহেরা এনিকা, সদস্য আইরিন আক্তার রিতা, তাবাসসুম হোসাইন, জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বলেন, জেলার অর্থকরী ফসলের মধ্যে নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও লটকন অন্যতম। এই দুটি পণ্যের সাথে জেলার হাজার হাজার কৃষকের কর্মসংস্থান জড়িত। তারা কেবল নিজেরাই উপার্জন করছে না, জেলার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে দারুণভাবে অবদান রেখে চলেছে। তাই আমরা পণ্য দুটির জিআই আবেদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। জেলার সম্ভাব্য জিআই পণ্যগুলো খুঁজে বের করার জন্য তিনি ইডিসির প্রতিনিধিগণসহ উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি ইডিসিকে ধন্যবাদ দেন নরসিংদীর জিআই পণ্য বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসায়।
ইডিসির প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদার বলেন, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার নাম শুনেনি এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। দেশের অন্য যেকোনো কলার চেয়ে স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। তিনি আরও বলেন, লটকন একটি মৌসুমি ফল হলেও বর্তমানে এটি নরসিংদীর মানুষের অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়েছে। এই ফল এখন কেবল দেশের চাহিদাই পূরণ করে না, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হয়। যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। পণ্য দুটির ডকুমেন্টেশনের সুযোগ দেওয়ায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নরসিংদীকে আন্তরিক ধন্যবাদ দেন।
উল্লেখ্য, নরসিংদীর সম্ভাব্য জিআই আবেদনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য একদিন আগে (২৭ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান এবং ইডিসির প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদার।