ইভ্যালিকে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া ও বহিরাগত চাপমুক্ত হলে ক্ষতিগ্ৰস্ত গ্ৰাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ই-কমার্স ও ই-সেবা খাতে ভোক্তার অধিকার-আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান।
রাসেল বলেন, বর্তমানে ইভ্যালির যে পরিচালনা পদ্ধতি রয়েছে এবং ইভ্যালি যে পরিমাণ মুনাফা অর্জন করে যাচ্ছে, তাতে সবাই যদি সহযোগিতা করে তাহলে ইভ্যালি গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম হবে। আমাদের বর্তমান বিজনেস ক্যাশ অন ডেলিভারি।
তিনি বলেন, বিগত ২৯ তারিখের পর থেকে এ পর্যন্ত আমাদের নিট মুনাফা ৫৩ লাখ টাকা হয়েছে। এই মুনাফা থেকে আমরা আমাদের খরচ মেটানোর পরে গ্রাহকদের যে পুরাতন দেনা রয়েছে সেটা দেওয়া শুরু করতে পারব। ব্যবসা করে টাকা পরিশোধ করার যে অঙ্গীকার, সেটা শুধু ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমানে এটি ইভ্যালির জন্য চরম সত্য। হাইকোর্ট আমাদের ইভ্যালি বোর্ডে দুজন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর রেখেছেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, যখন আমরা ই-কমার্স নিয়ে কাজ করতে থাকি তখন রাসেল সাহেব আটক। এমন অনেকেই আটক হলো। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। তাদের ব্যাংকের টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। এমন সময় আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলো যখন ই-কমার্সের করুণ অবস্থা।
তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী ব্যবসা কিন্তু ই-কমার্স বিজনেস। আমাদের এই ব্যবসাকে ধরে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন, তাতে ই-কমার্স বিজনেসকে আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। রাসেল সাহেবকে নিয়ে আমাকে জড়িয়েও নিউজ করা হয়েছে। এ ধরনের হলুদ সাংবাদিকতা করলে আবারো ই-কমার্স ব্যবসায় ধস নামবে।
ভোক্তার ডিজি আরও বলেন, ইভ্যালির রাসেল সাহেব এখন পর্যন্ত ১০ কোটি টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিয়েছেন। তিনি তো পালিয়ে যাননি। আমি চেয়েছি তারা ব্যবসায় ফিরে আসুক। তারা যদি ফিরে আসে, তাহলেই ভোক্তাদের অধিকার রক্ষা করা সম্ভব।
গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি রাসেলের সঙ্গে ডিজির একই অনুষ্ঠানে থাকার বিষয়টি সাধারণ মানুষ কেমন চোখে দেখবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ভোক্তার ডিজি বলেন, আমি এখানে অতিথি হিসেবে এসেছি, আমি এই অনুষ্ঠানের আয়োজক নই। এখানে কারা উপস্থিত আছেন তাদের বিষয় আমি অবগত নই। কেউ আসামি কি না, কেই গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত কি না- তা আমি জেনে এখানে আসিনি।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল ওয়াহেদ তামাল, ই-কুরিয়ারের সিইও বিপ্লব ঘোষ রাহুল, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, আইএসপিএবির জয়েন্ট সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন অনু প্রমুখ।