গত ছয় মাসের ব্যবসার নিট মুনাফা থেকে পাওনাদারদের দুই কোটি ১৭ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে ইভ্যালি। পাওনা পরিশোধের পর এখনো তাদের দেনা রয়েছে ৫০০ কোটি টাকার মতো। তবে ব্যবসায় মুনাফার মাধ্যমে কোম্পানি ভ্যালুয়েশন বাড়ানো এবং একক মালিকানা থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হওয়ার পথে হাঁটছে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে আয় বাড়াতে রিসেলারদের নিয়ে বি-সেলার ডটকম এবং আগস্ট নাগাদ বিশ্বের আটটি দেশে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বিদেশে বিক্রি শুরুর জন্য ক্রসবর্ডার ই-কমার্স সভলন ডটকম নামে আরেকটি প্লাটফর্ম উন্মোচন করতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন ইভ্যালি প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল।
তিনি বলেছেন, গত ছয় মাসে সাড়ে তিন লাখ ইনভয়েস থেকে আয় হয়েছে তিন কোটি টাকার মতো। এ থেকে নিট আয় হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। হিসাব অনুযায়ী, ইভ্যালির ফাইন্যান্সিয়াল ভ্যালু ৫০ কোটি টাকার মতো। একক মালিকানায় আমি বিনিয়োগ পেতে ব্যর্থতা ঘুচতে এখন আমি আশা করি ব্যবসায় উন্নয়নের মাধ্যমে ইভ্যালি শেয়ার বাজার থেকেও বিনিয়োগ আহরণ করতে পারবে। ইভ্যালির অ্যাসেট ভ্যালু রয়েছে তা আশার বিষয়। বাজার থেকে দুই-আড়াই শ’ কোটি টাকা আহরণ সম্ভব। কেননা, ইভ্যালি প্রফিটেবল, অ্যাফোর্ডেবল তা প্রমাণ করা যাচ্ছে।
রাসেল বলেন, গত সপ্তাহেও আমি দুইটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। আগেও যখন কথা বলেছিলাম তখনো গ্রেফতার হওয়ার অনেকটা সফলতার কাছাকাছি ছিলাম। আশা করি, ২০২৪ সালের মধ্যে নতুন বিনিয়োগ পাবো।
এক প্রশ্নের উত্তরে ইভ্যালি এমডি জানিয়েছেন, আশাকরছি, আগামী মাসে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক হলে ফিজিক্যাল অফিস করা সম্ভব হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাসেল বলেন, আমি আত্মগোপনে নেই। আমি পালিয়ে নেই। এই কথা শুনলে আমার সবসময়ই হাসি পায়। তবে সবশেষে আমি গ্রাহকদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সরকারের মনিটরিংয়েও আমি উপকৃত হচ্ছি। অবশ্য পাওয়ার খাটিয়ে কেউ যদি বকেয়া আদায় করতে গেলে আমি কলাপস করবো। আমাদের চিপড়াইলে এখন কিছুই বের হবে না।
দুই বছরের মধ্যে দেনা পরিশোধের কথা দেওয়া বিষয়ে তিনি বলেছেন, গত ৬ মাসের নিট লাভ থেকেই এই বিষয়টি অনুমান করা সম্ভব। আশাকরি ২০২৪ সালেই আমরা একটি ব্রেক থ্রু করবো। আগামী দুই মাসের মধ্যে মিডিয়া ও সেলারদের বকেয়া পরিশোধ করবো। আগামী দুই বছরের মধ্যেই সকল দেনা পরিশোধ করতে পারবো।