দেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়েছে। তবে এখনো গুগলে সার্চ করা যাচ্ছে না। সরাসরি ব্যবহার করা যাচ্ছে না ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া। কবে নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়া উন্মুক্ত হবে সে বিষয় সুস্পষ্ট করছেন না ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
কবে নাগাদ ফেসবুকসহ সামাজিকমাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হবে সে বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খেয়াল করছি যে এই মুহূর্তে কিছু সামাজিকমাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব তারা যেহেতু আমাদের বাংলাদেশের আইনকে কোনোভাবেই মানছে না, আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা কোনো কিছুকেই তারা সম্মান দেখাচ্ছে না এবং তারা তাদের নিজেদের পলিসি গাইডলাইন, প্রাইভেসি সেটিংস নিজেরাই ভঙ্গ করছে। তো এই মুহূর্তে আমরা এই ঝুঁকিটা কীভাবে নেব। তারা এসে যদি সেই প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা এসব বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করবে তখন আমরা বিবেচনা করে দেখব।
তিনি জানান, ফেসবুক, টিকটকের মতো সামাজিকমাধ্যমকে আগামী তিন দিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে তাদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি এই শুনানিতে অংশ নিয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে তবে তাদের বিষয়ে কঠোর হবে না সরকার।
ফেসবুকভিত্তিক বা এফ কমার্স খাতের উদ্যোক্তারা এরই মধ্যে বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন পলক। তিনি বলেছেন, ‘এখন ডট বিডি, ডট জিওভি ডোমেইনগুলো সুলভ ও সহজ করে দিয়েছে সরকার।’
এফ কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরির আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোকে এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরির আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ই–কমার্স খাতের উদ্যোক্তারা যেন নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন। এ জন্য আমরা দেশীয় ডোমেইন সহজ করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান, আইআইজিবি সভাপতি আমিনুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।