বেধে দেয়া ১২০ দিনের মধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি সহায়ক কমিটি গঠন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ তালিকা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রশাসক মুহাম্মদ সাঈদ আলী।
সে লক্ষ্যে দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসের মধ্যেই সাধারণ সদস্যদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন তিনি। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভার শুরুত দেয়া বক্তব্যে এমনটাই জানিয়ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের এই উপ-সচিব।
ই-ক্যাব সাধারণ সদস্যদের উদ্দেশে সভায় মুহাম্মদ সাঈদ আলী বলেছেন, দায়িত্বগ্রহণের ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতেই আমি সর্বাত্মক কাজ করছি। ই-ক্যাবের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে চাই। ই-ক্যাব সচিবালয়ে যে জনবল রয়েছে তা দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তাই আমি চাই, আপনাদের মধ্য থেকেই ৬-৭ জনকে নিয়ে একটি সহযোগী কমিটি করতে চাই। এর পাশাপাশি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের কাছে পরামর্শ বা মতামত চাই। তবে বক্তব্যে কোনো দাবি করবেন না। দাবি পূরণ করা আমার কাজ নয়। তাই কেউ যদি তা করেন তাতে আমার কিছু করার থাকবে না।
এছাড়াও সরকার থেকেই একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা মতবিনিময় সভায় দুই শতাধিক সদস্য অংশ নেন। বক্তব্য রাখেন শতাধিক সদস্য। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন তরুণ। বক্তব্যে সদস্যরা ই-ক্যাব এর সংস্কারের জন্য প্রশাসককে অতিরিক্ত সময় দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়াও আলোচনায় ভোটার আইডি সংশোধন এবং দীর্ঘদিন ধরে যে সকল সদস্য সক্রিয় নয় তাদের সক্রিয় করার বিষয় উঠে আসে। এছাড়াও সাম্প্রতিক বন্যার সময় ব্যক্তির হিসাব থেকে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার বিষয় সমালোচিত হয়েছে। একইসঙ্গে প্রশ্নিবিদ্ধ বিষয়ে নিরীক্ষার দাবিও জানানো হয়েছে।
নির্বাচনে সদস্যপদ হালনাগাদ করণের বিষয়টি নীরিক্ষার অধীনে আনার দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মীর শাহেদ আলী।
বক্তব্যে ভোটার তালিকা সংস্কার, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়ে সহায়ক কমিটি গঠন এবং নির্বাচনে কম টাকা খরচ করে যেনো প্রর্থীরা উত্তীর্ণ হতে পারেন সে জন্য কঠোর নিয়মের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরমার্শ দেন ই-ক্যাব’র সদ্য সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন।
ই-কুরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লব জি রাহুল বক্তব্যে সহায়ক কমিটির সর্বজন স্বীকৃতি এবং ইসিদের কেপিআই বেধে দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে মতবিনিময় সভায় মোট সদস্যের সিংহভাগই হাজির না হওয়ায় অনলাইনে ভোটিং ও মতামত গ্রহণের আহ্বান জানান। সক্রিয় ব্যবসায়ীদের নিয়েই ই-ক্যাব ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার ওপর জোর দেন মডেল অন্তু করিম।
চালডাল সিইও জিয়া আশরাফ বলেন, নির্বাচনকে নিয়ে যে ধরনের কমিউনিকেশন হচ্ছে তা স্বচ্ছ নয়। তাই গুগল ফর্মে সংস্কারের জন্য সব সদস্যদের মতামত নেয়া দরকার। ভোট গণনায় ডিজিটাল কাউন্টিং প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিকা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভ্যালুয়েশন করা হয়। চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে প্রার্থীরা যেন দায়িত্ব পালনরতদের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওসিআর কাউন্ট করাতে পারে।