একই পণ্যের দাম ছয় দিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ রাখায় আড়ংয়ের উত্তরা শাখাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ঝড় বইছে। সেই ঝড়কে আরো উসকে দিয়েছে- যখন আড়ংয়ে অভিযান চালানো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের বদলির আদেশ আসে।
ঘটনার পর অনেকেই আড়ং বর্জনের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিতে থাকেন। তেমনই একজন সজীব ওয়াফি। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আড়ং-এর নিয়মিত গ্রাহক ছিলাম বলতে গেলে। লুটপাট যখন জায়েজ করা হবে, গণমানুষের ওপর খবরদারি চলবে, শোষণ চলবে; তখন ঈদের নতুন জামা পুড়িয়ে হলেও আড়ং বর্জনের ডাক দিলাম….!!’
এই লেখার সঙ্গে তিনি নতুন জামায় আগুন দেয়ার একাধিক ছবিও যুক্ত করে দিয়েছেন। সজীবের এই পোস্টের নিচে অনেকেই আড়ং নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য ও তাদের খারাপ অভিজ্ঞতা কথা তুলে ধরেছেন।
এভাবে আরও অনেককে ফেসবুকে আড়ং নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করতে দেখা গেছে। তার বেশিরভাগই ছিল নেরতিবাচক। তারা বলছেন, নির্ধারিত মূল্যের শপে এ ধরনেরর দাম রাখা প্রতারণার শামিল। মানুষের বিশ্বাস নিয়ে আড়ং-এর এভাবে ব্যবসা করা মোটেও উচিৎ হয়নি।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার দুপুরে আড়ংয়ের উত্তরা শাখায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় পণ্যের দামে অসঙ্গতি পাওয়ায় সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা এবং শাখাটি ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মঞ্জুর শাহরিয়ার। পরে আড়ং দুঃখ প্রকাশ করলে রাতেই তা খুলে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় অভিযানে অংশ নেয়া সংস্থাটির উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে বদলির আদেশ দেয়া হয়। অবশ্য আদেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা স্থগিত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।