দেশেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করছে ওয়ালটন। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত সেসব পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্ব ক্রেতাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। ফলে, রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশী মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন পণ্যের মার্কেট শেয়ার দ্রুত বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে এসি রপ্তানি শুরু করেছে ওয়ালটন।
এ উপলক্ষ্যে আজ রবিবার (আগস্ট ৪) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসের সম্মেলন কক্ষে ‘ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনার এক্সপোর্ট টু ইয়েমেন’ শীর্ষক এক সেলিব্রেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। কেক কাটার মধ্য দিয়ে ইয়েমেনে এসি রপ্তানির সাফল্য উদযাপন করা হয়।
সেসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরস ইভা রিজওয়ানা, এসএম জাহিদ হাসান, মো. হুমায়ুন কবীর, নজরুল ইসলাম সরকার, মোহাম্মদ রায়হান, মো. তানভীর রহমান ও সিরাজুল ইসলাম, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরস মো. ফিরোজ আলম ও শাহজাদা সেলিম, অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর খোন্দকার শাহরিয়ার মুরশিদ, এসি বিভাগের চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) প্রকৌশলী ইসহাক রনি, ওয়ালটনের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) শাখার এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অ লের প্রধান রকিবুল ইসলাম রাকিব, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান প্রমূখ।
রকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ইয়েমেনের শীর্ষস্থানীয় একটি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের কাছ থেকে গত জুন মাসে এসি রপ্তানির আদেশ পায় ওয়ালটন। যার শিপমেন্ট হয়েছে চলতি মাসের শুরুতে। ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) পদ্ধতিতে, অর্থাৎ আমদানিকারকের দেয়া ডিজাইন, মান ও অন্যান্য শর্তানুযায়ী এসি তৈরি করেছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন আইবিইউ শাখার প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম বলেন, স্থানীয় বাজারের মতো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বৈশ্বিক বাজারেও দ্রুত শক্তিশালী অবস্থান তৈরির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। সেজন্য তৈরি করা হয়েছে কৌশলগত রোডম্যাপ। নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাশাপাশি ওইএম এর মাধ্যমে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। বিশ্ব ক্রেতাদের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবেশবান্ধব ও ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড পণ্য তুলে দেয়া হচ্ছে। ফলে, প্রতিনিয়ত ওয়ালটন পণ্যের নতুন রপ্তানি বাজার তৈরি হচ্ছে।
তার মতে- সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আন্তর্জাতিক মান এবং মূল্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় অন্যান্য গ্লোবাল ব্র্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকায় বিশ্ববাজারে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের জন্য সুদিন আসছে।
ওয়ালটন এসি বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান জানান, ইয়েমেনে এতোদিন রপ্তানি হতো ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ। দেশটিতে এবার এসি রপ্তানি শুরু করেছে ওয়ালটন। তিনি আশা করেন, ফ্রিজের মতো ওয়ালটনের এসিও ইয়েমেনবাসীর আস্থা ও মন জয় করে নেবে।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম জানান, বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাতের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন। তাদের মেইন ফোকাস এখন বিশ্ব বাজার। টার্গেট- ২০২৮ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা। সেজন্য ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের বাজারকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সেসব দেশের চাহিদা অনুযায়ী গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড ও মডেলের ফ্রিজ, টিভি, এসি ইত্যাদি পণ্য তৈরি করছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন এসির সিওও প্রকৌশলী ইসহাক রনি জানান, ওয়ালটন এর প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পরই বাজারে ছাড়া হয়। ফলে, স্থানীয় বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে এখন ওয়ালটন এসি। অতি দ্রুত বিশ্ব ক্রেতাদেরও মন জয় করে নিবে বলে তিনি আশাবাদী।