সারা দেশে চলছে ওয়ালটন ফ্রিজের ‘উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫ এর আওতায় এই ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার। সম্প্রতি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন দুই জেলার তিন ক্রেতা। তারা হলেন নরসিংদীর পারভিন বেগম এবং চট্টগ্রামের সালমা আক্তার ও সামাউন নবী।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও গ্রাহক দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাঙ্খিত সেবা নিতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ফ্রিজে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ দিচ্ছে ওয়ালটন।
পারভিন বেগম থাকেন নরসিংদী সদরের দাসপাড়ায়। সম্প্রতি তিনি পশ্চিম কান্দাপাড়া এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৩ মাসের কিস্তি সুবিধায় ২১৩ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ২০০% ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। ২৮ অক্টোবর তার হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারাপদ সাহা, ইলেকট্রনিক্স মার্কেট সমিতির সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মেহেদী হাসান মিনহাজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ওয়ালটন থেকে পাওয়া ক্যাশ ভাউচার দিয়ে তিনি ল্যাপটপ, এলইডি টিভি, মোবাইল ফোন, ব্লেন্ডার, টেবিল ফ্যান ও প্রেশার কুকারসহ ১২টি পণ্য কিনেছেন।
এদিকে, চট্টগ্রামের লোহাগড়ার গৃহিনী সালমা আক্তার ওয়ালটনের ডিলার শোরুম ‘এনাম ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ফ্রিজ কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন। ২৩ অক্টোবর তার হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, এনাম ইলেকট্রনিক্সের স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ এনামসহ ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সেই ক্যাশ ভাউচার দিয়ে সালমা আক্তার ওয়ালটনের আরো দুটি ফ্রিজ, ১টি সিলিং ফ্যান, ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক, টর্চ লাইট ও এলইডি বাল্ব কিনেছেন। তিনি বলেন, ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে এতকিছু পেয়েছি- ভাবতেই ভালো লাগছে। আমার পরিবার ও আত্মীয়ও খুব খুশি।
এর আগে চট্টগ্রামের পলিটেকনিকে ওয়ালটনের শোরুম ‘ই-ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ডিপ ফ্রিজ কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পান নাসিরাবাদের বাসিন্দা সামাউন নবী। ২২ অক্টোবর নগরীর পিটস্টপ রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সামাউন নবীর হাতে ওই ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক এবং ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার। ওই ক্যাশ ভাউচার দিয়ে সামাউন ওয়ালটনের আরো দুটি ফ্রিজ কিনেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে থেকে সদ্য ¯œাতক পাশ করা সামাউন বলেন, ফ্রিজে দ্বিগুণ ক্যাশ ভাউচার দিয়ে ওয়ালটন আমাকে অভিভূত করেছে। ইলেকট্রনিক্স, আইটি কিংবা হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যে আমি সব সময় দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনে আস্থা রাখি। আমি মনে করি, বাংলাদেশি হিসেবে সবারই দেশে তৈরি পণ্যে আস্থা রাখা উচিৎ। এতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশ আরো এগিয়ে যাবে।
সাইমন সাদিক বলেন, সাশ্রয়ী দামে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য দিয়ে ওয়ালটন এখন দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন পণ্য এখন ইউরোপ, আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে রপ্তানি হচ্ছে। সেই দিন আর বেশি দূরে নয়; যেদিন বাংলাদেশে বিদেশ থেকে ইলেকট্রনিক্স পণ্য আসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য ছড়িয়ে যাবে বিশ্বজুড়ে। ক্রেতারা ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের এই বিশাল অর্জনের গর্বিত অংশীদার হবে।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে তাদের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি শোরুম। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ডিরেক্ট কুল বা ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার। দাম ১০ হাজার থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি ওয়ালটন পণ্য কিস্তিতে কেনারও সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনে ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম (বঢ়ষধুধ.ধিষঃড়হনফ.পড়স) থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। কিস্তি এবং অনলাইনে কেনা ফ্রিজেও ক্যাশ ভাউচার এবং ক্যাশব্যাকের সুযোগ রয়েছে।
এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্ট।
উল্লেখ্য, এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিংয়ে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে রয়েছে বিএসটিআই সনদ। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট।
উৎপাদনের পর বাংলাদেশ এক্রিডিয়েশন বোর্ড (বিএবি) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত-ইউটিএইচ ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে প্রতিটি ওয়ালটন ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হয়।