কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য কপিরাইট জটিলতা সমাধান আরও সহজ করতে নতুন ফিচার এনেছে ইউটিউব
নতুন ফিচারে সরাসরি নিজেদের ‘ডিজিটাল ব্যাক-এন্ড’ থেকে কপিরাইট জটিলতার সমাধান করতে পারবেন ইউটিউবাররা। চাইলে ‘অ্যাসিস্টেড ট্রিম’ অপশনের সাহায্যে ছেঁটে ফেলতে পারবেন কপিরাইট জটিলতায় পড়া ভিডিও’র অংশবিশেষ। নতুন স্টুডিও আপডেটের অংশ হিসেবে অপশনটি জুড়ে দিয়েছে ইউটিউব। — খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ভার্জের।
‘অ্যাসিস্টেড ট্রিম’ প্রসঙ্গে ‘গুগল প্রডাক্ট ব্লগে’ লেখা হয়েছে, “ঠিক কোন অংশটি কপিরাইটের আওতায় পড়েছে তা সম্পাদনা পূর্ব-সেটে চিহ্নিত হয়ে হাজির হবে।” ঠিকভাবে যাতে চিহ্নিত করার কাজটি সম্পন্ন হয়, সেজন্য এখনও কাজ করছে ইউটিউব টিম। ছেঁটে ফেলার ফিচারটি পুরোপুরিভাবে হাজির হতে আরেকটু সময় নেবে বলেও উল্লেখ করেছে ভার্জ।
ইউটিউবে কপিরাইট জটিলতা খুবই সাধারণ ব্যাপার। কনটেন্ট তৈরি করেছেন কিন্তু কপিরাইট সমস্যায় একবারও পড়েননি এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দায়। ইউনিভার্সাল মিউজিকের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কনটেন্ট নির্মাতাদের কপিরাইট জটিলতায় জড়িয়ে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। অতীতে আরও অনেকভাবে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করেছে ইউটিউব। কিন্তু কখনই সমস্যাটি নির্মূল করতে পারেনি ভিডিও শেয়ারিং সাইটটি।
জুলাই মাসে নিজেদের নীতিমালা আপডেট করেছিল ইউটিউব। নতুন ওই নীতিমালায় বলা হয়েছিল, কনটেন্ট নির্মাতাদের ভিডিও’র কোন অংশটি কপিরাইটের আওতায় পড়ছে তা ইউনিভার্সালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে হবে।
পুরো বিষয়টিতে নিজেদের স্বচ্ছ্বতা বজায় রাখতে ইউটিউব স্টুডিওতে ‘কপিরাইট ক্লেইমস’ ও ‘কপিরাইট স্ট্রাইক’ দেখার ব্যবস্থাও করে রেখেছে ইউটিউব। আর হরহামেশা নতুন আপডেট তো আসছেই। সাম্প্রতিক আপডেট প্রসঙ্গে ব্লগ পোস্টে জানানো হয়েছে, “কপিরাইট সমস্যার কারণে কনটেন্ট নামিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আমরা আরও স্বচ্ছতা নিয়ে এসেছি। এখন থেকে নামিয়ে নেওয়ার আগে সুনির্দিষ্ট করে কারণ জানানো হবে।”
পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ২০২০ সালে ‘আরও অনেক আপডেট’ আসছে।