মহামারি করেনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনেদেন “নগদ” ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ কমিয়ে ৬ টাকায় নিয়ে এসেছে। এজন্য “নগদ” নিয়ে এসেছে ‘স্বাধীন মার্চেন্ট’ সেবা।
এই সেবার আওতায় এখন থেকে প্রতি হাজারে মাত্র ৬ টাকা খরচ করে একজন “নগদ” ‘স্বাধীন মার্চেন্ট’ ব্যবসায়ী তঁর ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে ক্রয়কৃত মালামালের পেমেন্ট হিসেবে আরেকজন “নগদ” ‘স্বাধীন মার্চেন্ট’কে পেমেন্ট করতে পারবেন।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ কমলে পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে বাংলাদেশের সকল মানুষ। ফলে মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে “নগদ”-এর এই উদ্যোগ। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) “নগদ” মনে করে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। এ কারণে দেশের এই সঙ্কটময় মূহুর্তে রাষ্ট্রীয় সেবা “নগদ” পাঁচ ধরনের ব্যবসা ও ব্যবসায়ীর পাশে দাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ (ফার্মেসি), নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য (গ্রসারি), পোস্ট অফিস, বাজার এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশনায় দেশে লকডাউনের শুরু থেকে মোবাইল অপারেটরগুলোর সাথে কথা বলে সারা দেশের মোবাইল টপ-আপ রিটেইলারদের ডিজিটালি টাকা কেনার ব্যবস্থা করে “নগদ”।
ফলে রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক-এর রিটেইলাররা চাইলেই যেকোনো সময় মোবাইলে ডিজিটালি টপ-আপ কিনতে পারছেন “নগদ”-এর মাধ্যমে। ফলে “নগদ”-এর কারণে এই দুর্যোগে নিরবচ্ছিন্ন সেবা উপভোগ করছে সাধারণ মানুষ।
এছাড়া “নগদ” দেশের এমন সংকটে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে তার বিজ্ঞাপন বাজেট কমিয়ে এনে সেই টাকা লেনদেন খরচ কমানোর কাজে ব্যবহার করছে। পাশাপাশি “নগদ”-এ প্রথম ১০০০ টাকা ক্যাশ আউটে চার্জ না নেওয়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের সেটেলমেন্ট চার্জ শূন্য করার মতো উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
দেশের ৪৯২টি উপজেলায় অসহায় মানুষদের মধ্যে খাবার এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের তত্ত্বাবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিনামূল্যে বিতরণ করছেন “নগদ”-এর কর্মীরা। “নগদ” বিশ্বাস করে , “মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে”।