চলছে গ্রীষ্মকাল। বাড়ছে গরম। এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি মানুষ। গরমে অনেকেই নাজেহাল। বন্ধ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শোরুম। এ অবস্থায় ঘরে বসেই এয়ার কন্ডিশনার কেনার সুযোগ দিচ্ছে দেশের শীর্ষ ব্র্র্যান্ড ওয়ালটন। অনলাইনে ওয়ালটন এসি কেনায় রয়েছে ১০ শতাংশ মূল্যছাড়। আছে ফ্রি ইন্সটলেশনসহ অসংখ্য সুবিধা। থাকছে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা।
ওয়ালটনের ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান জাকির জানান, বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে ঘরে বসেই এসিসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। গ্রাহকরা ‘ইপ্লাজা ডট ওয়ালটনবিডি ডটকম’ (https://eplaza.waltonbd.com) থেকে তাদের পছন্দের পণ্যটি কিনতে পারছেন। ইপ্লাজা থেকে কেনা সব মডেলের এসিতে ১০ শতাংশ মূল্যছাড় পাচ্ছেন গ্রাহক। যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ করে দেয়া হচ্ছে হোম ডেলিভারি। ওয়ালটনের দক্ষ টেকনিশিয়ানগণ বিনামূল্যে গ্রাহকদের এসি ইন্সটলেশন করে দিচ্ছেন।
জানা গেছে, যে কোনো মডেলের পুরাতন এসির বদলে ২৫ শতাংশ মূল্যছাড়ে ওয়ালটনের নতুন এসি কেনার সুযোগ রয়েছে। মাত্র ৪,৯০০ টাকা ডাউন পেমেন্টে নতুন এসি, ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি, জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইএমআই, এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট, ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টিসহ অসংখ্য সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন এসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মো. তানভীর রহমান বলেন, দেশেই নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, মেশিনারিজ, আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালে নিবিড় তত্ত্বাবধানে এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। এসির মান উন্নয়ণে ওয়ালটনের রয়েছে শক্তিশালী আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ণ) টিম। যাদের প্রতিনিয়ত গবেষণায় ওয়ালটন এসিতে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। ফলে দেশের এসি বাজারে এখন শীর্ষে ওয়ালটন। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন এসি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
তিনি জানান, খুব শিগগিরই ওয়ালটন বাজারে আনছে ভয়েস কমান্ড, থার্ড আই, ফ্রস্ট ক্লিন এবং ই-রিপিলার প্রযুক্তির অত্যাধুনিক এসি।
ওয়ালটন এসির আরএন্ডডি বিভাগের প্রধান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে আইওটি বেজড ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্মার্ট ও ইনভার্টার এসি। এসব এসিতে ব্যবহৃত ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ এবং আর৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করে। কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। যার ফলে ওয়ালটন এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।
ওয়ালটনের ১, ১.৫ এবং ২ টনের স্পিল্ট এসির চাহিদা বেশি। পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি ব্যাপকভাবে বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আর বড় স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ (VRF) এবং চিল্লার (Chiller) এসি।
দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন।
এদিকে, করোনা দুর্যোগের কারণে যেসব এসির ওয়ারেন্টি ২৫ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হচ্ছে, সেগুলোর মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে ওয়ালটন। এ সময়ে অনলাইনে গ্রাহকদের সেবা দেয়া হচ্ছে। পণ্য সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় ওয়ালটনের হটলাইন ১৬২৬৭ ও ০৯৬১২৩১৬২৬৭ নম্বরে এবং অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে (https://www.facebook.com/waltonairconditioner) সেবা পাওয়া যাচ্ছে।