মহামারীর মধ্যেও বড়দিনের মৌসুমে ১১১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে অ্যাপল পণ্যের বিক্রি। বিশেষ করে মহামারী মানুষকে অনলাইননির্ভর করে ফেলায় এই মৌসুমে পরিবারগুলো অ্যাপলের সর্বশেষ সংস্করণের ফোন, ল্যাপটপ এবং গ্যাজেট কিনমে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। ফলে বিক্রিতে নতুন রেকর্ড করেছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টটি।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত ২০২০ সালের শেষ তিন মাসে বিক্রয় ১১১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।
ফলে বর্তমানে এক বিলিয়নেরও বেশি আইফোনসহ বিশ্বব্যাপী অ্যাপলের মোট ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়নের বেশি সক্রিয় ডিভাইস রয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অ্যাপলের এই বিক্রিতে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে নতুন আইফোন ১২। অ্যাপলের নির্বাহীরা বলছেন, রেকর্ড সংখ্যক ব্যবহারকারীকে এই নতুন ফোনটি কিনতে উৎসাহিত করা গেছে।
এছাড়া মহামারীর কারণে চীনের অর্থনীতিতে নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল হওয়ার কারণেও অ্যাপলের বিক্রিতে উর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। বিশেষত নতুন ফাইভজি নেটওয়ার্কের জন্য উপযুক্ত ডিভাইসের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে।
হংকং এবং তাইওয়ানসহ বৃহত্তর চীন অঞ্চলে অ্যাপল পণ্যের বিক্রি বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। যেখানে ইউরোপে বেড়েছে ১৭ শতাংশ এবং আমেরিকায় ১১ শতাংশ।
অ্যাপলের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার লুকা মায়েস্ট্রি বলছেন, কোম্পানির সব পণ্যই সারা বিশ্বে খুব ভালো করছে। আমরা আগামী মার্চে সমাপ্ত ত্রৈমাসিকের দিকে তাকিয়ে আছি এবং আমরা অত্যন্ত আশাবাদী।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভসের মতে, অ্যাপল মূলত একটি ‘সুপার-সাইকেল’ এর শুরুতেই ছিল। কারণ অ্যাপলভক্তরা সর্বশেষ প্রযুক্তির টেলিযোগযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফোন কেনার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, অ্যাপলের হাতে এখন অন্যতম কার্ড হচ্ছে ফাইভজি। তাদের প্রায় ৪০ শতাংশ ‘সোনালি রত্ন’ (ফাইভজি আইফোন) বিক্রয়ের নতুন ভিত্তি তৈরি করে দেবে। কারণ যারা সাড়ে তিন বছর ধরে ডিভাইস আপগ্রেড করার প্রয়োজন মনে করেননি তারাও ফাইভজি প্রযুক্তি পেতে নতুন ফোন কিনবেন।
সূত্র: বিবিসি