গত বছর শেষে বিশ্বে প্রায় ৬৬ কোটি ৫০ লাখের ঘরে পৌঁছে গেছে স্মার্টটিভি। বৈশ্বিক খানা বা গৃহস্থালির প্রায় ৩৪ শতাংশ এখন স্মার্টটিভি দেখছে। ২০২৬ সাল নাগাদ ৫১ শতাংশ পরিবার বা ১১০ কোটি পরিবার স্মার্টটিভি দেখবে। স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিকসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিকস বলছে, ২০২০ সালে স্মার্টটিভি বিক্রির হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১৮ কোটি ৬০ লাখ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে, যা মোট বিক্রীত ফ্ল্যাট টিভি প্যানেলের ৭৯ শতাংশ।
বার্ষিক বিক্রির দিক থেকে টানা নয় বছরের মতো শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং। অন্যদিকে এলজিকে ছাড়িয়ে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে টিসিএল।
কানেক্টেড হোম ডিভাইসেসের সিনিয়র অ্যানালিস্ট এদুয়া বুফেনি বলেন, বর্তমান সময়ে যে পরিমাণ ফ্ল্যাট টিভি বিক্রি হয় তার মধ্যে স্মার্টটিভি সবার পছন্দের শীর্ষে। সেই সঙ্গে গৃহস্থালি ইলেকট্রনিকস পণ্যের ক্ষেত্রে স্মার্টটিভির বাজার ও চাহিদা আরো বাড়বে। কারণ গ্রাহকরা তাদের পুরনো টিভি বদলে নতুন স্মার্টটিভি ঘরে তুলছে।
তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের প্লাটফর্ম পরিচালনার খরচ বাঁচাতে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড টিভি ও রকুর সঙ্গে যুক্ত হলেও স্যামসাং, ভিজিও, এলজিসহ অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব প্লাটফর্মেই চলছে। একই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টেড টিভি বিজ্ঞাপনে ভাগ বসানোর চেষ্টা করছে।
বাজারে থাকা কিছু টেলিভিশন স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম ও অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে স্মার্টটিভির বাজার ধীরে ধীরে যুক্ত হচ্ছে। এদিক থেকে স্যামসাংয়ের টাইজেন সবার শীর্ষে রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে অ্যান্ড্রয়েড টিভি ও রকু টিভি অপারেটিং সিস্টেমের মতো কিছু থার্ড পার্টি সফটওয়্যার প্লাটফর্ম শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
মিডিয়া অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স হোম প্র্যাকটিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়াটকিনস বলেন, ধীরে ধীরে স্মার্টটিভির ব্যবহার বাড়ছে। সেই সঙ্গে অনলাইন ভিডিও কন্টেন্ট দেখার ক্ষেত্রেও গ্রাহকরা এ ডিভাইসকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
ওয়াটকিনস আরো বলেন, স্মার্টটিভির অপারেটিং সিস্টেম সরবরাহকারীদের প্রথমেই গ্রাহকদের ভালো কন্টেন্ট খুঁজে পাওয়ার সুবিধা, অত্যাধুনিক গবেষণা, বিজ্ঞাপনের প্লাটফর্ম ও ইউজার ফ্রেন্ডলি ইউআই তৈরির মাধ্যমে গ্রাহক তথা দর্শকদের আকৃষ্ট করতে হবে।