বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে নতুন মাত্রা যোগ করবে ফোল্ডেবল (ভাঁজযোগ্য) স্মার্টফোন। এমন প্রত্যাশা থেকে ফোল্ডেবল ফোন উন্নয়ন ও উন্মোচনে বিনিয়োগ করছে বিভিন্ন ডিভাইস নির্মাতা কোম্পানি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সাল নাগাদ প্রিমিয়াম ফোন বাজারের ৫ শতাংশ দখলে নেবে ফোল্ডেবল স্মার্টফোন। এ সময় বাজারে এ ফোনের সরবরাহ তিন কোটি ইউনিটে পৌঁছাবে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস।
গার্টনারের রিসার্চ ডিরেক্টর রবার্টা কোজ্জা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি ব্যবহারকারীরা অন্যান্য স্মার্টফোনের মতো করেই ফোল্ডেবল ফোন ব্যবহার করবে। দিনের মধ্যে তারা বারবার এ ফোন হাতে নেবে, ইচ্ছামতো এটি আনফোল্ডিং করবে এবং এর প্লাস্টিকের তৈরি স্ক্রিনে শব্দ লিখে যাবে, যদিও ফোল্ড করার ধরনের ওপর ভিত্তি করে স্ক্রিনে দ্রুত দাগ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উৎপাদনগত বেশকিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমাদের ধারণা আগামী পাঁচ বছরে ফোল্ডেবল ফোন একটি বিশেষ পণ্যের জায়গায় পৌঁছে যাবে। এছাড়া স্ক্রিন নিয়ে সমস্যার পাশাপাশি দামের প্রতিবন্ধকতাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে যাবে।’
চলতি বছর মোবাইল ফোনের রফতানি ১৮০ কোটি ইউনিটে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা বার্ষিক হিসাবে দশমিক ৫ শতাংশ কম। কিন্তু ২০২০ সাল নাগাদ মোবাইল ফোনের বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ সময় চলতি বছরের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ বেশি রফতানি করা হবে।
গার্টনারের গবেষকদের দাবি, ‘ব্যবহারকারীরা নতুন নতুন প্রযুক্তি ও অ্যাপ্লিকেশনের আগ্রহ দেখিয়ে থাকেন। সে অর্থে বলা যায়, নতুন মডেলগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নতুন সেবা, দক্ষতা অথবা অভিজ্ঞতা না পেলে তারা বাজারে নতুন আসা পণ্যে আগ্রহ দেখাবেন না।’