মোবাইল কোম্পানিগুলোর কাছে সরকারের রাজস্ব পাওনা রয়েছে ১৫ হাজার ১শ ৬০ কোটি টাকা। এই বকেয়া পাওনা আদায়ে ব্যবন্থা নেওয়া হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সদস্য বেনজির আহমদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
মোস্তফা জব্বার বলেন, বর্তমানে দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লি. (সিটিসেল) এর কাছে সরকারের ১২৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া থাকার কারণে বিটিআরসির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে এবং বকেয়া রাজস্ব আদায়ের জন্য বিটিআরসির মাধ্যমে এই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিটিআরসির মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মোবাইল কোম্পানিগুলো নিয়মিত অডিট করা হয়। ইতোমধ্যে গ্রামীণফোন লি. ও রবি আজিয়াটার অডিট কার্যক্রম শেষ হয়েছে। গ্রামীণফোনের কাছে ৮ হাজার ৪৯৪.০১ কোটি টাকা (বিটিআরসি) এবং এনবিআর-এর ৪ হাজার ৮৫.৯৪ কোটি টাকাসহ মোট অডিট আপত্তির পরিমাণ ১২ হাজার ৫৭৯.৯৫ কোটি টাকা এবং রবি আজিয়াটার কাছে বিটিআরসির ৬শ ৭৭.৭৬ কোটি টাকা এবং এনবিআরের ১শ ৮৯.৪৭ কোটি টাকাসহ মোট অডিট আপত্তির পরিমাণ ৮শ ৬৭.২৩ কোটি টাকা।
অডিট আপত্তি করা অর্থ পরিশোধের জন্য প্রতিষ্ঠান দু’টিকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অডিট আপত্তির অর্থ আদায়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাংলালিংক কমিউনিকেশন লি. ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লি. মোবাইল অপারেটর দু’টির অডিট কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে অডিটর নিয়োগের বিষয়টিও প্রকিয়াধীন।
সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে থ্রিজি স্পেট্রাম অ্যাসাইনমেন্ট ফি বাবদ ১৫শ ৮৫.১৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই বকেয়া আদায়ের জন্য বিটিআরসি থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।