বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান দ্বিতীয় কোম্পানির দৌড়ে অ্যাপলকে প্রায় ধরে ফেলেছে চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়া। এর অন্যতম প্রধান কারণ, এআই টুলের চালিকা শক্তি হিসাবে কাজ করা চিপ তৈরি করে এই কোম্পানিটি। ফলে এর শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের রয়েছে আস্থা ও এসেছে উপচে পড়া বিনিয়োগ।
বর্তমানে চলা এআই শোরগোলের মধ্যেই কোম্পানির বাজারমূল্য এক লাখ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে এনভিডিয়ার মূল্য। এ মাইলফলক অর্জনে লেগেছে কেবল নয় মাস, আর সে সময়ে কোম্পানিটি পেছনে ফেলেছে জেফ বেজোসের ‘অ্যামাজন’, গুগলের মালিক ‘অ্যালফাবেট’, ও বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি ‘সৌদি আরামকো’র মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলোকে।
এনভিডিয়ার বাজারমূল্য বর্তমানে প্রায় দুই লাখ ৩৮ হাজার কোটি ডলার। কোম্পানিটি অ্যাপল থেকে ২৩ হাজার কোটি ডলার ও মাইক্রোসফট থেকে প্রায় ৬৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার পিছিয়ে রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
উন্নত চিপ বাজারের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা এনভিডিয়ার শেয়ারের উত্থান, এ বছর ওয়াল স্ট্রিটকেই রেকর্ড অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করেছে। পাশপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ৫০০ কোম্পানির বেঞ্চমার্ক সূচক ‘এসঅ্যান্ডপি ৫০০’-এ একাই ৫ শতাংশ গুরুত্ব অর্জন করেছে কোম্পানিটি।
এদিকে, আইফোন বিক্রির ধীরগতির সঙ্গে লড়াই করা অ্যাপল, ২০২১ সালের জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো সবচেয়ে মূল্যবান মার্কিন কোম্পানি হিসাবে নিজের জায়গা হারিয়েছে মাইক্রোসফটের কাছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয়, ওয়াল স্ট্রিটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া স্টক হিসাবে টেসলাকেও পেছনে ফেলেছে এনভিডিয়া।
ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষকদের টার্গেট মূল্য অনুসারে, আগামী ১২ মাসে এনভিডিয়া শেয়ার প্রতি ৮৫০ ডলারে লেনদেন করবে। আর এলএসইজি’র তথ্য অনুসারে এটি কোম্পানির সর্বশেষ সমাপনী মূল্য ৯২৬ ডলারের নিচে।