পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফিতে যুগান্তকারী উদ্ভাবন নিয়ে আসা মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানকেই আবারো ছাড়িয়ে গেলো বিশ্বজুড়ে তরুণদের পছন্দের শীর্ষে থাকা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো। এ যাত্রায় অপো ক্রেতাদের সাধ্যের নাগালের মাঝে রেখেই নিয়ে এলো ৪৮+৫ মেগাপিক্সেল ডুয়াল ক্যামেরা, ভোক ৩.০ ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি আর ট্রিপল কালার গ্র্যাডিয়েন্ট কালার ডিজাইনের সমন্বয়ে দুর্দান্ত একটি ফোন।
স্মার্টফোন ডিজাইনকেই ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে অপো এফ১১ এর চোখজুড়ানো ডিজাইন। এর দু’টি ভার্সন ফ্লুরাইট পার্পল আর মার্বেল গ্রিন রঙের দু’টো ফোনই দেখতে বেশ জমকালো হয়েছে। এর ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যেনো সব বয়েসীদের হাতেই দারুণভাবে মানিয়ে যায় ফোনটি। ধরার উপযোগী করে তুলতে এফ১১ ফোনের প্রান্তগুলো বিশেষভাবে কার্ভ করা হয়েছে।
এফ১১ এর ওয়াটারড্রপ নচে স্থাপন করা হয়েছে এর ক্যামেরা এবং স্পিকার ফলে, নচের চতুর্দিক ঘিরে স্ক্রিনের অংশ থাকায় এতে বাধাহীনভাবেই ফুল এইচডি+ ভিডিও দেখা সম্ভব। এতে রয়েছে বিস্ময়কর ৯০.৯% বডি-টু-স্ক্রিন রেশিও তাই সাড়ে ছয় ইঞ্চির প্যানারোমিক ডিসপ্লে থাকলেও এর এজ থেকে এজ ডিজাইনের কল্যাণে ফোনের আকার তেমন বড় নয় মোটেই। এফ১১ এর সবচেয়ে দারুণ দিক হচ্ছে এর দূর্দান্ত প্যানারোমিক এইচডি প্লাস ডিসপ্লেতে মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট দেখার অভিজ্ঞতা।
মাঝারিদামের মধ্যে এফ১১ হাতেগোনা কয়েকটি ফোনের একটি যাতে ৪৮+৫ মেগাপিক্সেল ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম রয়েছে। অপো’র আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্যামেরা সফটওয়্যারের কল্যাণে এতে থাকা সকল পিক্সেলের সমন্বয়ে চোখ ধাঁধানো আর ওয়াইড ডাইনামিক রেঞ্জের ছবি আউটপুট দিতে সক্ষম এফ১১। এতে রয়েছে ৪৮+৫ মেগাপিক্সেল ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম, এফ/১.৭৯ অ্যাপারচার, বল বিয়ারিং ক্লোজড লুপ ভিসিএম, ৬পি লেন্স এবং ১/২.৩ ইঞ্চি ইমেজ সেন্সর ফলে এতে দারুণভাবে ধরা দেয় লেন্সের সামনে থাকা সাবজেক্ট। ঝকঝকে আলোতে পুরোপুরি ৪৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা এইচডি ছবি আউটপুট দিতে সক্ষম এ ফোনটি। কিছুটা ছায়াযুক্ত স্থানে কিংবা রাত্রিকালীন সময়ে এতে থাকা ‘টেট্রাসেল প্রযুক্তি’ একটি পিক্সেলকে ঘিরে থাকা চারটি পিক্সেলকে একত্র করে ফেলার মাধ্যমে প্রতিটি পিক্সেলকে কল্পনাতীত ১.৬ মাইক্রো মিটার আকারে পরিণত করার মাধ্যমে ‘ফটোসেনসিটিভ’ পিক্সেলকে দ্বিগুণ আকারে পরিণত করে আর এর ফলে উজ্জ্বল আর লো-নয়েজ নাইট পোর্ট্রেট ছবি তুলতে পারে অপো এফ১১। এতে থাকা ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা এফ/২.০ অ্যাপারচার লেন্সের মাধ্যমে রীতিমত চ্যালেঞ্জিং পরিবেশেও দারুণ সেলফি তুলতে সক্ষম এই ফোন।
এফ১১ এ থাকা ড্যাজেল কালার মোড নিশ্চিত করে এতে থাকা স্কিন কালার কন্ট্রোল মোড সাবজেক্টের পটভূমিতে থাকা উজ্জ্বল দৃশ্যাবলী থেকে সাবজেক্টকে আলাদা করার মাধ্যমে দারুণ স্কিন টোনের পোর্ট্রেট ছবি তুলতে সক্ষম। এছাড়াও, এতে থাকা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইঞ্জিন থাকায় অপো এফ১১ এর ক্যামেরা বিভিন্ন ধরনের সিনারিও আলাদা করে চিনতে সক্ষম ফলে, বেশ অপটিমাইজড ছবি আউটপুট দিতে সক্ষম এ ফোনটি।
অপো এফ১১ প্রো’র সবচেয়ে শক্তিশালী দিক এর ৪০২০ মিলিএম্পিয়ার ব্যাটারি। গড়পড়তা সাধারণ কিংবা অতিরিক্ত ব্যবহারের চাপ, যেকোনো ধরনের ব্যবহারেই ফোনটি একদিনের বেশি সচল থাকবে একবার চার্জেই। যদি চার্জ একদিনেই শেষ হয়ে যায়ও, সেক্ষেত্রেও থাকছে না কোনো দুশ্চিন্তা কারণ এতে রয়েছে ভোক ৩.০ ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি যা মাত্র ১ ঘণ্টার মাঝেই ৮০ শতাংশ চার্জ হয়ে যায় অপো এফ১১। দ্রুত চার্জিং এই সুবিধাটি এতোই দুর্দান্ত যে একবার এতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া মাত্র আর পেছন ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই মোটেই।
স্পেসিফিকেশন বিবেচনায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এমন অনেক ফোনই হয়তো অপো এফ১১ এর সমতুল্য কিন্তু অপো’র নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি আর সুক্ষ বিষয়গুলোর প্রতিও যেভাবে যত্নশীলতা প্রদর্শন করে, এদিক বিবেচনায় মাঝারি দাম বিবেচনায় এই মুহুর্তে দেশসেরা ফোন অপো এফ১১। এফ১১ এতোটাই দারুণ ফোন যে দামে মাঝারিমানের হলেও এতে ফ্ল্যাগশিপ মানের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। দেশের বাজারে অপো এফ১১ পাওয়া যাচ্ছে ২৭,৯৯০ টাকায়।
নিজেদের এই পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি সক্ষমতা নিয়ে অপো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘ফটোগ্রাফিতে এই ফোনটির সক্ষমতা এতো উঁচু মানের যে এফ১১ কে নিয়ে আমরা রীতিমত গর্ব অনুভব করি। আমরা বিশ্বাস করি, যারা ফোনটি কিনেছেন বা কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাদের দারুণভাবে সন্তুষ্ট করবে আমাদের এই ফোনটি।’