প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এগিয়ে থাকতে নিজেদের ডিভাইসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে স্মার্টফোন নির্মাতারা। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বে সরবরাহ করা প্রতিটি স্মার্টফোনে এআই ফিচার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশের ফোনে বিশেষ এআই ফিচার রয়েছে। এ পরিসংখ্যান ২০২৮ সালের মধ্যে ৫৪ শতাংশে পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছে। খাতসংশ্লিষ্টরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, ২০২৮ সালের মধ্যে এআই সক্ষম স্মার্টফোনের বাজার বার্ষিক ৬৩ শতাংশ হারে বাড়বে। মূলত এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ও এজ টু এজ প্রসেসিংয়ের মতো উন্নত ফিচারগুলোর জন্য ভোক্তা পর্যায়ে এআইনির্ভর স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়বে।
প্রতিবেদন তথ্যানুসারে, প্রথম দিকে উন্নত এআই মডেলগুলো শুধু হাই-এন্ড ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনেই পাওয়া যাবে। তবে সময়ের সঙ্গে মিড রেঞ্জ বাজেট সেগমেন্টের স্মার্টফোনেও এআই সক্ষমতা যুক্ত করা হবে।
ক্যানালিস বলেছে, স্মার্টফোনে জেনারেটিভ এআইয়ের উত্থান পুরো স্মার্টফোন শিল্পের জন্য একটি বড় রূপান্তরকারী পরিবর্তন আনবে। তারা বিশ্বাস করে, এআই ইন্টিগ্রেশন-পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে পুরোপুরি বদলে দেবে।
সম্প্রতি মটোরোলার প্রেসিডেন্ট ও লেনোভো মোবাইল বিজনেসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সার্জিও বুনিয়াক স্মার্টফোন ব্যবসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানানোর সময় এআইয়ের সম্ভাবনার কথা বলেছেন। এরই মধ্যে শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতারা এআই অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
গুগল ও স্যামসাংয়ের বাজারে আসা সাম্প্রতিক ফ্ল্যাগশিপগুলোয় এআইনির্ভর ফিচার দিয়ে তৈরি করেছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ডেডিকেটেড এআই ফোন মডেল বাজারে আসেনি। তবে হুয়াওয়ে, অপো ও শাওমির মতো চীনা নির্মাতারাও হাই-এন্ড ডিভাইসের জন্য এআই সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে। তাদের পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে কাস্টম এআই চিপ ডেভেলপমেন্ট করা। এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এআই মডেলের প্রশিক্ষণ ও সফটওয়্যার অপ্টিমাইজ করা। এআই প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে গ্রাহকদের জন্য আগামী বছরগুলোয় স্মার্টফোন লাইনআপ তৈরি করা একটি মূল লক্ষ্য হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।