উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) তে ৩ লাখ মেম্বারের সেলিব্রেশন উপলক্ষে (১ জুন ২০২০) রাত ৮ টায় লাইভের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি। পুরো লাইভ সেশনটি পরিচালনা করেন উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরামের সম্মানীত উপদেষ্টা ও ই-ক্যাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা।
প্রতিমন্ত্রী উই গ্রুপের ৩ লাখ ১২ হাজার মেম্বারকে অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেন লাইভ আড্ডা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শীতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে প্রতিমন্ত্রী বলেন ইন্টারনেট, পেমেন্ট গেটওয়ে, লজিস্টিক ও আস্থার সমন্বয়ে ই-কমার্সের সুফল এসেছে। বাংলাশের ই-কমার্সের অবদান ও ভূমিকা উল্লেখ করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন- ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব আহমেদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে দেশের ই-কমার্সের এতো উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কনফারেন্সে ফেসবুক প্যাভিলিয়নে এফ-কমার্স ইন্টারভিউতে রাজিব আহমেদের ইন্টারভিউ দেখেছি। তাই রাজিব আহমেদ শুধু দেশেই নয় বিদেশেও বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করেছে।
রাজিব আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ই-ক্যাব রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করা, ই-কমার্স ওয়ার্ল্ড সেশনের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সাথে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ও ধারাবাহিক ট্রেনিং চালিয়ে নেওয়া ছিলো গত ৬ বছরের মোটা দাগে ই-কমার্সে সরকারের সাফল্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের সাথে উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরামের যৌথ উদ্যোগে ট্রেনিং চালিয়ে নিতে পারলে এর সুফল ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌছানো যাবে। মানসম্পন্ন কনটেন্ট প্রস্তুত করতে পারলে শতশত উদ্যোক্তারা উপকৃত হবে।
দেশি পণ্যের সম্ভবনা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণাকে গুরুত্ব দিয়ে দেশী যত পণ্য আছে এবং যত পণ্যের সম্ভাবনা রয়েছে তা নিয়ে যেন উই কাজ করে। উই এখন ৩ লাখ ১২ হাজার মেম্বারের বিশাল পরিবার। তাদের সক্ষমতা রয়েছে দেশে সকল পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের। অর্থনৈতিক মন্দা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্য উদ্বৃত্তের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যতেও উদবৃত্ত হতে হবে। দেশি পণ্য উদপাদন ক্রয় ও বিক্রয়ে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম এমনটাই প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, যদি উইয়ের মেম্বারদের হাইটেক পার্ক, ডিজিটাল সেন্টার, একশপ, একপের মতো সরকারি প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, সরকারের পক্ষ থেকে সুযোগ দেওয়া হবে। দেশী পণ্যের উদ্যোক্তাদের বিজনেস প্রসারে যদি আপডেট প্রযুক্তি, বিনিয়োগ ও মেন্টরিং এর প্রয়োজন হয় স্টার্টআপ বাংলাদেশ সহযোগীতা করবে। দেশের অর্থনীতি উন্নয়ন, উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান তৈরি করতে উইয়ের ক্ষুদ্র, মাঝারি বড় করার লক্ষ্যে অফিশিয়ালি মেন্টরিং স্কুল প্রয়োজন হলেও সরকার কাজ করবে।
তিনি আরও প্রত্যাশা করেন কোভিড-১৯ এর কারণে যেখানে কর্মসংস্থানের বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে উইমেন এন্ড ই-কমার্স আশার আলো হতে পারে।
রাজিব আহমেদ বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি স্টার্টআপ রয়েছে উই গ্রুপে এবং তাদের সকলের রেভিনিউ রয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর কাছে উই গ্রুপের দেশী পণ্যের স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের অডিট ফার্মের সহযোগীতায় অডিটের ব্যবস্থা করে সার্টিফিকেটে দিয়ে সরকারি ভাবে স্বীকৃত দেওয়ার অনুরোধ করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিলুপ্ত পণ্য গুলো বাচিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করতেছি। এর জন্য সরকারের উৎসাহ পেলে আরও ভালো ফল পাবো।
প্রতিমন্ত্রী রাজিব আহমেদ কে পরামর্শ দেন প্রাথমিক ভাবে উই গ্রুপ থেকে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের রেভিনিউ অডিট/যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে তালিকা প্রদানের। এর উপর গুরুত্ব দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের যথাসম্ভব বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীতে স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করে বিনিয়োগ, মেন্টরিং ও হাইটেক পার্ক গুলোতে কো-ওয়ার্কিং স্পেসের ব্যবস্থা করা হবে।