মার্কেটিং খরচ ছাড়া উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) তে কয়েকজন হ্যান্ড পেইন্ট নারী উদ্যোক্তার সম্মিলিত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৮০ লাখ টাকা।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। হ্যান্ড পেইন্ট উদ্যোক্তারা গত ১ বছর আগেও অনিশ্চয়তা ছিল নিজ পেশার সফলতা নিয়ে। পরিবারের সদস্যদের কাছেও ছিল না তাদের পেশাগত মূল্যায়ন। উদ্যোক্তারা বলছেন, “এতো আঁকাআঁকি করে কি হবে জীবনে?” এমন প্রশ্নের মুখমুখি হতে হয়েছে হরহামেশাই।
উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করায় আশার আলো দেখেছে হ্যান্ড পেইন্ট শিল্পের উদ্যোক্তারা। নিজেদের দক্ষতা আর আভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে আয়ের মূল উৎসে রূপ দিতে পেরেছে হ্যান্ড পেইন্ট পেশাকে। পরিবারেও মিলেছে নিজেদের স্বীকৃতি। উইয়ের এডমিন প্যানেলের কাছে মোট বিক্রির হিসাব না থাকলেও ধারণা করছে হ্যান্ড পেইন্টে লেনদেন হয়েছে কোটি টাকার বেশি। শুধু দেশে নয় দেশের বাইরেও প্রচুর পরিমানে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে ।
গ্রুপে পোস্ট করে কয়েকজন উদ্যোক্তা জানিয়েছে তাদের বিক্রয় হিসাব। উদ্যোক্তার নাম, প্রতিষ্ঠানের নাম এবং বিক্রয় পরিমাণ নিজে দেওয়া হলো-
ফৌজিয়া ডেইজির উদ্যোগের নাম অন্দর। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ১৮ লাখ টাকা।
– সুমী আফসানার উদ্যোগের নাম গুটিপোকা। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
– আকসা হৈমর উদ্যোগের নাম ফেব্রিকার্ট। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
– অতন্দ্রিলা আয়শির উদ্যোগের নাম দাঁড়কাক। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৫২ হাজার ৫০০ টাকা।
– নুসরাত জাহানের উদ্যোগের নাম শৌখিন ছবিঘর ক্যানভাস পেইন্টিং। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার টাকা।
– কাশেমা রিমির উদ্যোগের নাম গ্যালেরিয়া বাংলাদেশ। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
– রোকেয়া আক্তারের উদ্যোগের নাম চারুক্রিট। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৪২ হাজার টাকা।
– ঐশী তাবাসসুমের উদ্যোগের নাম কাঠমুকুট। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
– সামিয়া জাহিদ নীতির উদ্যোগের নাম নবনীতি। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
– লুবনা নাফিরের উদ্যোগের নাম মৈথিলী। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা।
– অরুবা তাসনিম অর্তির উদ্যোগের নাম অরিন্দা। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ২ লাখ টাকা।
– আফসানা আঁখির উদ্যোগের নাম অতন্দ্রিতা ক্রাফট। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা।
– প্রিমা তাসনিমের উদ্যোগের নাম ক্রিপটন ফ্যাশনস এবং প্রিম’স পেইন্টিংস। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
– বুশরা মানছুরার উদ্যোগের নাম চিত্রন আঙিনা। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ১৬ হাজার টাকা।
– বৃষ্টি রাজ ঋতুর উদ্যোগের নাম পরিধি। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৬১ হাজার টাকা।
– তীর্থ খায়ের সিঁথির উদ্যোগের নাম নন্দী পাঠ। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
– রুবাবা আজাদের উদ্যোগের নাম পিগমেন্ট হাট। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ২৩ হাজার টাকা।
– শাওন আরা জেসমিনের উদ্যোগের নাম আরএস ক্লোজেট। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
– মেঘলা ভৌমিকের উদ্যোগের নাম চারুকুটির। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
– তনুশ্রী সরকারের উদ্যোগের নাম শালুকপাতা। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।
– রাফা বিনতে ফারুকীর উদ্যোগের নাম ক্রাফট এন চয়েস। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
– আঁখি জামান ইতির উদ্যোগের নাম কালারস বাই আখি। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৮০ হাজার টাকা।
– সানজিদা শিকদারের উদ্যোগের নাম দি শিকদার্স। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৯০ হাজার টাকা।
– শাহনাজ আলমের উদ্যোগের নাম দেয়ালীবিলাস। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ১০৭৫০ টাকা।
– ফেরদৌসী সিঁথির উদ্যোগ ইচ্ছে রঙিন। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
– মিতু আক্তারের উদ্যোগের নাম বিশ্রুতি। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৬০ হাজার টাকা।
– জান্নাতুল ফেরদৌস সিঁথির উদ্যোগের নাম বোহেমিয়ান। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।
– মারুফ কামরুলে উদ্যোগের নাম রিজিওনাল আর্ট। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা।
– সায়মা আফরোজ বৃষ্টির উদ্যোগের নাম বৃষ্টি’জ কালেকশন। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার টাকা।
– সামিয়া তারান্নুমের উদ্যোগের নাম শিমুয়ানস। উইতে মোট হ্যান্ড পেইন্ট বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকা।
এ শিল্পের উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ডিজাইনের মাধ্যমে উঠে আসে আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। উদ্যোক্তারা আরও বলেন, নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করছেন তারা।