দেশের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার জন্য দেশীয় শিল্পের বিকাশ অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু আমরা যদি দৈনন্দিন পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের সময় খেয়াল না রাখি যে আমরা কাদের উৎপাদিত পণ্য ক্রয় করছি, তাহলে দেশীয় শিল্পের বিকাশে তা অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়াবে। অনেকে বলেন, দেশী পণ্যের মান ভালো না। আমি, আপনি কি একবার ভেবে দেখেছি, আমরা যদি দেশী পণ্য না কিনি, তাহলে মান ভালো হবে কীভাবে? একটা কারখানার উৎপাদিত পণ্য—কাপড়, জুতা যা-ই হোক না কেন, যদি মোটামুটি চলে, তাহলে কারখানার মালিক চিন্তা করবেন কীভাবে পণ্যটির মান বৃদ্ধি করা যায়।
প্রতিটি মানুষের জীবনে বিয়ে একটি বিশেষ অধ্যায়। আগেরকার দিনে বিয়ের সাজে লাল শাড়ি, লাল লিপস্টিক ও লালটিপ ছাড়া বউয়ের সাজ ভাবাই যেত না। দিন বদলেছে, বউ সাজে এসেছে অনেক রঙ। বাঙালী বিয়েতে নানা রীতিনীতি রয়েছে আর পাঁচটা বিয়ের মতই। কিন্তু কনের সাজে সবচেয়ে জমক দেখা মেলে বাঙালী বিয়েতে। ইউনিক বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। এতদিন বিয়েতে বাহারি রংয়ের বিদেশী পণ্যের সমাহার থাকলেও এখন দেশি পন্যর প্রতি ভালোবাসায় অনেকেই ব্যবহার করছেন দেশ এবং দেশের মানুষের তৈরি দেশি পন্য ।
দেশী পণ্যের উদ্যোক্তাদের মত এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন দেশী পন্যের ক্রেতারা যারা শুধু তাঁতের শাড়ী কিনছেন না বরং নিজেদের বিশেষ দিনগুলোতে তাঁতের শাড়ী গায়ে জড়িয়ে দেশী পণ্যের শিল্পের প্রচার ও প্রসারে রাখছেন প্রশংশনীয় ভূমিকা।
সানজানা ইসলাম । দেশি পণ্য প্রতি ভালোবাসা এবং দেশি পন্যর প্রতি অনুপ্রানিত হয়ে বাটিক শাড়ি পড়ে প্রি-এনগেজমেন্ট একটা প্রোগ্রাম করলেন।
সানজানা জানান, দেশি পন্যর প্রতি আমার ভালোবাস অনেক আগে থেকে । বিশেষ করে উই এ জয়েন্ট করার পর থেকে দেশি পণ্য এই সমাহার দেখে আমার ইচ্ছা তৈরি হয়ে যায় আমার বিয়েতে সকল আয়োজন হবে দেশি পন্য দিয়ে । আমি খুব আনন্দিত যে বাটিক শাড়ি পড়ে প্রি এনগেজমেন্ট একটা প্রোগ্রাম করে ফেললাম। শাড়িটি নিয়েছি শান্তা ইসলাম আপুর থেকে। ভেন্যু হিসেবে আমাদের বিপ্লী দিদির হেবাং এর থেকে ভালো অপশন আর হতেই পারে না। সাথে ছিল ইসরাত আপুর উদ্যোগ রাই এর পিঠা। এমনকি দেশি হাতে তৈরি গহনা থেকে শুরু করে ব্যাগ সব কিছু যেন হেবাং এর দেশী পরিবেশকে আরও অনেক সুন্দর করে তুলেছে। এমনকি খাবের মেন্যু তে ছিল তুলশীমালা চালের ভাত এবং সব পাহাড়ি মজার মজার খাবার।