উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও অনেক নারীকে ঘরের কোণে বসে থাকতে হয়। ফলে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ নেই। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু এখনও বাংলাদেশের বেশির ভাগ পরিবারে বিবাহিত নারীদের ঘর-সংসার সামলানোই প্রধান কাজ। এর বাইরে খুব বেশি কিছু করার সুযোগ থাকে না তাদের। তবে তাদের থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম ঢাকার টঙ্গীতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা তরুন উদ্যোক্তা তানিয়া ইসলাম ত্রিনা।
মাত্র ৩৫ টাকার পুঁজি দিয়ে শুরু করে ৬ মাসে ১৫ লাখ টাকার বেশি পণ্য বিক্রি করেন ঢাকার টঙ্গীর ‘পাঁচমিশালি’ নামে অনলাইন শপের মালিক ২৫ বছর বয়সী এই নারী। তবে এটা যতটা সহজ মনে হচ্ছে, ততটাই কঠিন ছিল তার জন্য। পরিবারের কঠিন সময় উদ্যোক্তা হওয়ার লড়াই শুরু করে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাকে।
তিনি বলেন নিজে কিছু করার ইচ্ছে তার অনেক আগে থেকেই ছিল। ‘পুরো বিশ্ব করোনায় বিপর্যস্ত। এ কঠিন অবস্থার মধ্যেও আমি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা অনেক কঠিন ছিল। সামান্য কিছু টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করি।
তানিয়া বলেন, বর্তমানে আমার প্রতিদিন বেশি ভাল পরিমানে অর্ডার আসছে । আজ সারাদিনে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। আমার এই উদ্যোগ আরও বড়ানোর জন্য শনির আখড়াতে ২ টি শপ নিয়েছি ।
তিনি আরো বলেন, আমার মতে মানুষ সবচেয়ে যেই কাজ বেশি পারে,তার উচিত তা নিয়ে কাজ করা। আমি রান্না ভালো পারতাম,উদ্যাগক্তা হয়ে যাই রান্না দিয়ে।আমার বিজনেসে প্রথম পুঁজি ছিলো ৩৫ টাকার আটার প্যাকেট। আমি আটা দিয়ে ফ্রোজেন রুটি আর পরোটা বানিয়ে ছবি আপলোড করি ফুড গ্রুপে,আর আসতে থাকে অর্ডার।
এই ভাবে আমি প্রচুর ফ্রজেন আইটেম এর কাজ করতে থাকি।
তিনি বলছিলেন, ‘স্বপ্ন হলো সফলতার প্রথম ভ্রূণ। একজন নবীন নারি উদ্যোক্তার কাছে স্বপ্ন দেখাটা দোষের কিছু নয়, বরং সেই স্বপ্ন থেকেই জন্ম নেয় ইচ্ছাশক্তি, আত্মবিশ্বাস, ধৈর্যশক্তি, তারপরই ধরা দেয় সফলতা।
তানিয়া বলেন, উইতে নিয়মিত একটিভ থেকে পরিচিতি বৃদ্ধি করার কারণে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়েছি। আমি উই তে মার্চ থেকে জয়েন করি। যদিও উদ্যোক্তা জীবনের শুরু থেকে উই তে ছিলামনাহ তবে এখানে এসে বুঝলাম উই নি:সন্দেহে এক একটা মানুষের স্বপ্ন পূরনের এবং স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবে রুপ দেয়ার মতন একটা চমৎকার গ্রুপ।