২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর ধানমন্ডির ওমেন ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে ওমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) আয়োজিত দিনব্যাপী দেশি পণ্যের মেলার (WE Colorful Fest 2019) আয়োজন হয়েছিল। সেদিন ৬ লাখ টাকার বেশি দেশীয় পণ্যে বিক্রি হয়েছে। তৈরি হয়েছে শত শত দেশি পণ্যে ক্রেতা ও ব্যবহারকারী। তেমনি একজন আনুজা ইমতিয়াজ। গত একবছরে দেশি পণ্যের কেনাকাটা ও ব্যবহার নিয়ে আনুজার সাথে টেকজুম থেকে আলাপ করেছেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
নিজের সময় ও শ্রম বাঁচাতে অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত ঢাকার আনুজি ইমতিয়াজ। শুরুতে বিদেশি বা বেশি লাইকের পেজ থেকে কেনাকাটা করলেও গত একবছর নতুন নতুন উদ্যোক্তা থেকে কেনাকাটা করেছেন দেশীয় পণ্য। উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) তে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কেনাকাটা করছেন নির্দ্বিধায়। গ্রুপের পোস্ট কমেন্ট থেকে পরিচয় হয়েছে কিছু বিক্রেতার সাথে, জানা হয়েছে তাদের উদ্যোগ ও পণ্য সম্পর্কে। তাই কোয়ালিটি, অর্ডার বা বিল পরিশোধে নিয়ে ভাবতে হয় না আনুজার।
অনলাইনে দেশি পণ্যের কেনাকাটার শুরু সম্পর্কে জানতে চাইলে আনুজা ইমতিয়াজ বলেন, জামদানি মিটাআপে গিয়ে পিংক কালারের শাড়িতে চোখ আটকে যাওয়ায় শাড়িটি ক্রয় করেছি। বর্তমানে শাড়ী, পাঞ্জাবী, জুয়েলারি, চাল, মাছ সহ বাসার প্রয়োজনীয় সবকিছু কেনাকাটা করি ফেসবুকে। গত এক বছরে শুধু জামদানি শাড়ি ক্রয় করেছি ১৭ টি। নিজের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আত্মীয়দেরও উপহার পাঠাচ্ছি দেশি পণ্য।
দেশি পণ্যের প্রচার বাড়াতে প্রতিটা নতুন পণ্য কেনার পর ব্যবহার করে অর্ডার, ডেলিভারি, কোয়ালিটি সহ সার্বিক বিষয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে ফেসবুকে রিভিউ দেন আনুজা। তার মতে, অনলাইনে কেনাকাটায় অনেকের অনিহা বা ভীতি রয়েছে, রিভিউ দেওয়ার ফলে অন্তত পরিচিত লোকদের ভয় দূর হয়ে অনলাইন কেনাকাটার আগ্রহ বাড়ে। তিনি বলেন, ফেসবুকে তুলশীমালা চাল নিয়ে রিভিউ পোস্ট দেওয়ায় আমার নিকটস্থ দুই ভাবি অর্ডারে আগ্রহী হন।
মূলত দেশীয় পণ্যের উদ্যোক্তারা প্যাসিফিক পণ্য নিয়ে কাজ করায় তাদের প্রোডাক্টের জ্ঞান ও আন্তরিকতা অনেক বেশি। তাছাড়াও দেশি পণ্যের ব্যবহারে দেশের টাকা দেশই থাকছে।