হাফসা সিদ্দিকা দেশি পণ্যের ক্রেতা ও বিক্রেতা। গত একবছর যাবৎ নিজের ও পরিবারের প্রয়োজনীয় অনেক কিছু কেনাকটাকা করছেন ফেসবুক তথা অনলাইনে। নিজে শুরু করেছেন দেশীয় চা পাতা নিয়ে ‘চায়ের চুমুকে’ উদ্যোগ। ২০২০ সালকে বিদায় জানিয়ে টেকজুমের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন দেশি পণ্যের কেনাকাটা ও ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
টেকজুম: অনলাইনে দেশি পণ্যের কেনাকাটায় আগ্রহী হলেন কিভাবে ?
হাফসা সিদ্দিকা: আমার কাছে ২০২০ এর আগে “দেশীয় পণ্য” মোটেই প্রাধান্য ছিলো না আলাদা ভাবে। ফেসবুক গ্রুপ উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) তে জয়েন হওয়ার পর দেশীয় পণ্য নিয়ে উইয়ের উপদেষ্টা রাজিব আহমেদ স্যারের চেষ্টা দেখেছি, সেটি সমর্থন দিতে মূলত দেশীয় পণ্য উল্লেখ যোগ্যভাবে ক্রয় ও ব্যবহার শুরু করেছি। ব্যবহারের পর বুঝতে পারলাম আমাদের দেশীয় পণ্য সবদিক থেকে গুণে-মানে অনন্য। এই দুইয়ে মিলে দেশীয় পণ্য উল্লেখযোগ্য ভাবে কেনাকাটা ও ব্যবহারে আগ্রহী হয়েছি।
টেকজুম: গত একবছরে দেশি পণ্যের কেনাকাটার শীর্ষে ছিল কোন কোন পণ্য ও প্রতিষ্ঠান ?
হাফসা সিদ্দিকা: ২০২০ সাল ছিল দেশি পণ্য কেনাকাটার বছর। গত এক বছরে আমি অনেক আবায়া-বোরকা, শাড়ি সহ প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেছি। কেনাকাটার তালিকায় অনেক অনেক দেশি পণ্য থাকলেও উল্লেখিত পণ্য গুলো ছিল শীর্ষে। আমি আবায়া স্টোরির আবায়া ও বোরকা কিনেছি সবচেয়ে বেশি।
টেকজুম: আবায়া স্টোরিতে কেনাকাটা অভিজ্ঞতা বলেন।
হাফসা সিদ্দিকা: ”আবায়া স্টোরি” আমার কাছে আসলে আমার আবায়ার স্টোরি। আবায়া স্টোরি থেকে আমার সর্বোচ্চ কেনাকাটার একমাত্র কারণ হচ্ছে মনমত নিজের পোশাক সাচ্ছন্দ্যে পেয়ে যাওয়া। একজন বিক্রেতা হিসেবে আবায়া স্টোরির সত্ত্বাধিকারী সিরাজুম মুনিরা আপুর ব্যবহার এবং আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে বরাবর।
টেকজুম: ফেসবুকে কেনাকাটা করতে পারিবারিক কোন বাধার সম্মুখিন হয়েছেন ?
হাফসা সিদ্দিকা: নির্দিষ্ট ভাবে দেশীয় পণ্য কেনাকাটা ২০২০ সালে শুরু হলেও আমি অনলাইনে ২০১৪-১৫ সাল থেকে কেনাকাটা করি। শুরু থেকে পরিবারিক কোনো বাধা মুখমুখি হইনি বরং অনলাইনে কেনাকাটা তাদের মাধ্যমে শিখেছি। এখন যেহেতু আমি একজন ই-কমার্স উদ্যোক্তা, বর্তমানে পারিবারিক বাধার কোনো প্রশ্নই আসেনা।
টেকজুম: দেশীয় পণ্যের উদ্যোক্তাদের থেকে কেনাকাটা করে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা ঘটেছে ?
হাফসা সিদ্দিকা: অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং আমি আনন্দিত ও গর্বিত দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের থেকে কেনাকাটা করে। সবাই খুবই আন্তরিক এবং তাদের সার্ভিসও প্রশংসনীয়। মানুষ মাত্রই ভুল হলেও ক্রেতা হিসেবে আমি কোন বিক্রেতার থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ভুলও পাইনি।
টেকজুম: ক্রেতা থেকে বিক্রেতা হলেন কিভাবে ?
হাফসা সিদ্দিকা: উল্লেখযোগ্য একমাত্র কারণ ছিলো দেশীয় পণ্যকে সাপোর্ট করা। একজন ক্রেতা হিসেবে দেশীয় পণ্য আমার সম্পূর্ণ ভরসা বহন করতে পারছে, সুতরাং দেশীয় পণ্য ছাড়া দ্বিতীয় আমি আর কিছু ভাবিনি এবং উইতে দেশীয় পণ্যের উদ্যোক্তাদের সংগ্রাম আমাকে আরও উৎসাহী করেছে দেশীয় পণ্য কেনাকাটা ও বিক্রিতে।
টেকজুম: আপনাকে ধন্যবাদ।
হাফসা সিদ্দিকা: আপনাকেও ধন্যবাদ।