খুলনায় নানার বাড়িতে জন্ম হয় নাজমুন শ্রাবণীর। বাবার ব্যাবসার সুবাদে ঢাকায় বেড়ে উঠেন। ২০০৫ সালে দাদা মারা গেলে সপরিবারে বসবাস শুরু করেন গ্রামের বাড়ী নড়াইলে। নড়াইল সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজে লেখাপড়া করেছেন। উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে বিয়ে করে এবং অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াকালিন দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমায়।
কথায় আছে, দূরত্ব বাড়লে ভালোবাসার মহত্ব বোঝা যায়। দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পর দেশি পণ্য ব্যবহারে আগ্রহ বেড়েছে প্রবাসী শ্রাবণীর। নিজেদের পরিধেয় পোশাক থেকে শুরু করে জানালার পর্দা, বেডশীট, ফ্লোর ম্যাট সহ পরিবারের প্রয়োজনীয় সিংহভাগ পণ্য ব্যবহার করেন বাংলাদেশি। উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর উপদেষ্টা রাজিব আহমেদের দেশীয় পণ্য নিয়ে অভিনব চিন্তা-ভাবনা এবং নিঃস্বার্থ পরিশ্রম অনুপ্রাণা ও সাহস যোগীয়েছে ফেসবুকে দেশি পণ্যের কেনাকাটায়।
প্রবাসী শ্রাবণীর পরিধেয় পোশাক এবং গৃহসজ্জায় ব্যবহৃত ৮০ ভাগ পণ্য বাংলাদেশ থেকে নেন। পছন্দ করেন গৃহসজ্জায় দেশীয় আমেজ রাখতে এবং বিদেশী বন্ধুদের পরিচয় করিয়ে দেন দেশি ঐতিহ্যের সাথে। দেশে থাকা আত্মীয়দের উপহার দিতে অনলাইনে অর্ডার দেন। নতুন কোন দেশি খাবারের সাথে পরিচয় হলেও উপহার পাঠান নিকটাত্মীয়দের।
দেশীয় ঐতিহ্য ও শিল্প বাচিয়ে রাখতে বিদেশি ব্র্যান্ডের পরিবর্তে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের থেকে কেনাকাটা করেন প্রবাসী শ্রাবণী। দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের পণ্য কোরিয়ায় ব্যবহার করে বরাবরের মতো মুগ্ধ হয়েছে তিনি।
তিনি ২০২০ সালে নকশী কাঁথা, শাড়ি, মসলিন গাউন, জামদানী গাউন, পাঞ্জাবি, খেশ ফ্যামিলি সেট, হাতের কাজের থ্রি পিস, রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী মটকা সিল্কের গাউন, মনিপুরি হিজাব, শাল, সুতার গহনা, খাবার, ঘর সাজানোর জিনিস সহ পঞ্চাশটিরও বেশি ফেসবুক পেজ বা উদ্যোক্তা থেকে দেশীয় পণ্য কেনাকাটা করেছেন।
উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) ফেসবুক গ্রুপ দেশি পণ্যের প্রচার ও প্রসারে অবদান রাখায় উইয়ের প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশাকে ধন্যবাদ জানান প্রবাসী শ্রাবণী।