সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ভেঙে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে নারী। ইন্টারনেটের বৈপ্লবিক যুগে ফেসবুক বা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের নারীরাও হয়ে ওঠেছেন উদ্যোক্তা। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতা এখন মানুষ ঘরে বসেই পাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে গত ১৫ মাসে দেশে সাড়ে ৪ লাখ নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। যারা অনেকেই ঘরে বসে লাখপতি হয়েছে পাশাপাশি তৈরি হয়েছে অনেক কর্মসংস্থান।
শুক্রবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আয়োজনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে ই-কমার্সের অগ্রযাত্রায় নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা’ আলোচনা অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বিগত ১২ বছরে দেশে ১৫ লক্ষ প্রযুক্তির নির্ভর কর্মসংস্থান হয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, গত ১২ বছর আগে বাংলাদেশ ছিল শ্রম নির্ভর দেশ আর বর্তমানে আমরা প্রযুক্তি নির্ভর, মেধা নির্ভর দেশে রূপান্তরিত হচ্ছি।
প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি এবং অর্থায়ন এ তিনের যথাযথ সুযোগ তৈরি করতে পারলে নারী উদ্যোক্তারা অনেক সফল হবেন। অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানে ই-কমার্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
বর্তমান সময়ে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমে এসেছে বা কোথাও কোথাও নাই বললেই চলে জানিয়ে উই-এর সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশো বলেন, বর্তমানে সরকার নারী উদ্যোক্তাদের ভালো প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে। এ সময় উদ্যোক্তার কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়া লোনের জন্য আবেদন করতে পারছে। যা নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে।
গত ১২ মাসে উই-এর উদ্যোগে আয়োজিত মাস্টারক্লাসে ৮ লক্ষ নারী উদ্যোক্তা উপকৃত হয়েছে এবং অনেকে লাখপতি হয়েছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইনকোনমিতে ভালো অবদান রাখার সুযোগ হয়েছে বললেন সিল্ক গ্লোবাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও সৌম্য বসু ।