ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইইই), বাংলাদেশ সেকশন দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে নারীর ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)’তে এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তারা নারীদের কর্মজীবনের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার ওপরও জোর দেন।
আইইইই বাংলাদেশ সেকশন ও গ্লোবাল আইইইই উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাফিনিটি গ্রুপের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার ‘ওমেন্স হিস্টোরি মান্থ’ উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়। এসময় আইইইই উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্লোবাল চেয়ার প্রফেসর সেলিয়া শাহনাজ ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়াতে বিপুল সংখ্যক নারীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নিয়ে আলোকপাত করেন।
প্যানেল স্পিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সুমনি আক্তার একজন নারী হিসেবে তার কর্মজীবনের চ্যালেঞ্জগুলি কিভাবে কাটিয়ে উঠেছেন সে বিষয়ে বলেন, “আমি স্টেরিওটাইপগুলি কাটিয়ে উঠতে এবং আমার দায়িত্ব পালন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সৌভাগ্যবশত আমি আমার পরিবারকে সবসময় আমার পাশে পেয়েছি”।
এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রমিতি আলম এবং রবি আজিয়াটার সহ-সভাপতি অনামিকা ভক্ত ছাড়াও আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ার অধ্যাপক মশিউল হকের পরিচালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন আইইবি’র এজিএস প্রকৌশলী রনক আহসান, এমআইএসটি’র ড. আমিনুল মিঠু, কুয়েটের ড. নরত্তোম রায় প্রমুখ।
উল্লেখ্য আইইইই হচ্ছে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শাখার জন্য একটি বৈশ্বিক পেশাদার অ্যাসোসিয়েশন যার কর্পোরেট হেডকোয়ার্টার আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত। এটি বিশ্বের ১৬০ টি দেশে চার লক্ষাধিক সদস্য নিয়ে গঠিত প্রযুক্তিগত পেশাদারদের বৃহত্তম সংগঠন। নিকোলা টেসলা, টমাস আলভা এডিসন প্রমুখ বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকরা নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৪০ বছরের প্রাচীন স্বনামধন্য এই পেশাজীবি সংগঠনের।