চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল রবিবার প্রকাশ করা হবে। এদিন সকাল ১১টায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হবে। এই ফলের অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ শিক্ষার্থী। একযোগে অনলাইনে ফলাফল দেখার চেষ্টায় প্রতিবারই ধীরগতির মুখোমুখি হতে হয় ফলপ্রার্থীদের। এবার এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন ভোগান্তি। ইন্টারনেট সেবাদাতাদের বিল বকেয়া থাকায় ব্যান্ডউইথ ডাউন করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সারা দেশে ইন্টারনেটে ধীর গতি রয়েছে। রবিবারের মধ্যে এই অবস্থার সমাধান হচ্ছে না। ফলে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সরাসরি ফলাফল সংগ্রহ করা ছাড়া গতি থাকছে না ফল প্রত্যাশীদের।
১৯টি আইআইজির (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা পাওনা ছিল ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)। ফলে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পরে বিএসসিপিএলসি আইআইজিগুলোর গড়ে ২৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ তথা ৬২৫ জিবিপিএস ডাউন (সীমিত) করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ধীর গতির ইন্টারনেট নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন সেবা গ্রহীতারা।
বিএসসিপিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহম্মদ বলেন, ‘ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই বকেয়া পরিশোধ করছে না। এখনও বকেয়া রয়েছে ৩৮০ কোটির মতো। সভা করে অনেকবার নোটিশ দিয়ে তাদের জানানোর পরও বকেয়া পরিশোধ করছে না। ’
মির্জা কামাল আহম্মদ বলেন, “এটা খুবই হতাশাজনক যে, বকেয়া রাখার কোনো সিস্টেমই নেই। একমাসের বকেয়া থাকলে পরের মাসে তাদের লাইন কেটে দেওয়ার কথা। অথচ ‘আমরা নেটওয়ার্কস’ নামে আইআইজি ১৯ মাসও বকেয়া রাখছে। ফলে এই আইআইজির কাছে ৬১ কোটি টাকা পাবো। এছাড়া আরও একটি প্রতিষ্ঠানের ৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এমন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খুব বেশি খারাপ অবস্থায় নিয়ে গেছে। ফলে সরকারের নির্দেশে ব্যান্ডউইথ ডাউন করা হয়েছে।’
রবিবারের মধ্যেই ইন্টারনেট ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারেননি কামাল আহম্মদ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এখন পর্যন্ত একটি আইআইজি বকেয়া পরিশোধ করায় তাদের সার্ভিস রিস্টোর করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো শিগগির পরিশোধ করবেন বলে তিনি আশাবাদী।