নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ৫২ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স এর বনানীস্থ ক্যাম্পাসে এই আয়োজন করা হয়।
বিকাল সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো: মামুনুর রশীদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. রওশন আরা আক্তার (ভারপ্রাপ্ত উপ-উপয়াচার্য), রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার, পিএসসি, বিএন (অব.) এবং সাম্প্রতিক দেশকালের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মো. জাফরুল্লাহ খান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিজয় দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি পরিচালক (এডমিন) অভিষেক রেজা প্রমিজ ও ইইই বিভাগের সহকারি আধ্যাপক অনিবার্ণ সরকার। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিরবতা পালন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. মামুনুর রশীদ বলেন, এই বিজয় দিবস আমরা লাখো মানুষের জীবনের বিনিময় পেয়েছি, আমি আজ তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। ঐতিহাসিক এই বিজয়ের দিনে আমি বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে, যার ডাকে দেশের মুক্তি পাগল মানুষে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা এনেছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার, পিএসসি, বিএন (অব.) বলেন, বিজয়ের এই দিনে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আরও এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মকে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় তিনি শুধু সিলেবাসে সীমাবদ্ধ না থেকে দেশ গড়ার কাজে সামাজিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহবানও জানান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে।
সাম্প্রতিক দেশকালের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক জাফর খান বলেন, দেশের ঐতিহ্য ও জাতিসত্তাকে ফিরিয়ে আনতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তার জীবনের মূল্যবান সময় কাটিয়ে দিয়েছেন অন্ধকার কারাপ্রকোষ্ঠে। শুধুমাত্র এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য ব্যক্তি সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পরিহার করে সারাজীবন শুধু সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়াই ছিল তার একমাত্র ব্রত। তিনি বলেন, যুব সমাজকে আগামী দিনের গর্বিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য কি করণীয় সেটি ভাবার সময় এখন এসেছে।
পরে আলোচনা শেষে বিজয় দিবসের নকশা খচিত কেক কাটার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মৌমিতা তানজিলা ও ইইই বিভাগের প্রভাষক আবু এম ফুয়াদ।