দ্বিতীয় দিনের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ফেনী নোয়াখালী কুমিল্লাসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সংঘটিত ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে ত্রাণ সংগ্রহের ব্যাপক কার্যক্রম চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি)।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংগৃহীত হচ্ছে নগদ টাকা, শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, স্বাস্থ্য সামগ্রী। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই বস্তাভর্তি করে বন্যার্তদের জন্য সহায়তা নিয়ে আসছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, টিএসসির গেমস রুম এবং ক্যাফেটরিয়া ভর্তি হয়ে আছে ত্রাণ সামগ্রীতে। গেমস রুমে যাচাই-বাছাই করে সর্বোত্তম জিনিসটি বন্যার্তদের জন্য প্যাকেজিং করা হচ্ছে। ক্যাফেটরিয়ায় চলছে গুদামজাতকরণ। সারি সারি ব্যাগ বন্যার্তদের জন্য ভালোবাসায় ভর্তি হয়ে অপেক্ষায় রয়েছে ফেনী নোয়াখালী কুমিল্লাসহ বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর মানুষের জন্য।
বিপুলসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী যাদের বেশির ভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তারা নিজেদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছেন ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুত করতে।
বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ ইসলাম বলেন, এখানে আপামর জনসাধারণ তাদের হাত খুলে সর্বোচ্চটা দিয়ে বন্যার্তদের জন্য সহায়তা নিয়ে এসেছেন। ‘মানুষ মানুষের জন্য’ সেই বাণীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অংশ নিচ্ছেন। এ যেন এক নতুন বাংলাদেশ। টিএসসি যেন হয়ে উঠেছে প্রকৃত অর্থেই ত্রাণের শহর।
গত বুধবার (২১ আগস্ট) দিবাগত রাতে ভারতের ত্রিপুরার ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়া হয়। ফলে সেখানকার পানি এসে সরাসরি আঘাত করে ফেনীসহ কয়েকটি জেলায়। এতে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয় বেশ কয়েকটি জেলা। সবশেষে এই বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছিল ১৯৯৩ সালে।